‘গুরু’ রঘুরাম রাজন আগেই বলেছিলেন। এ বার বললেন ‘শিষ্যা’ গীতা গোপীনাথও।
আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতার মতে, ভারতের পরিসংখ্যানে আরও স্বচ্ছতা জরুরি। যেখানে সারা দুনিয়া অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধির দেশ ভারতের দিকে তাকিয়ে, সেখানে এ দেশের বৃদ্ধির পরিসংখ্যান আরও পরিষ্কার হওয়া উচিত। হওয়া উচিত নির্জলা। অর্থাৎ, সংখ্যায় জিডিপি কিংবা শতাংশে বৃদ্ধির মাপ ঘোষণায় যেন আলো-আঁধারি না থাকে।
মঙ্গলবারই ২০১৮-১৯ সালে দেশের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৭.৩% করেছে আইএমএফ। কিন্তু সত্ত্বেও ভারত অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধির দেশ। সমস্যা হল, জিডিপি হিসেবের নতুন পদ্ধতি ও সেই সূত্রে বৃদ্ধির মাপ নিয়ে মোদী জমানায় প্রশ্ন উঠেছে বার বার। এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গীতা বলেন, ২০১৫ সালে বৃদ্ধির মাপকাঠির যে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে, তা স্বাগত। কিন্তু জিডিপি মাপার পদ্ধতিতে এখনও সমস্যা রয়েছে। যে বিষয়টি আগেও তুলে ধরা হয়েছে।
তা ছাড়া হালে খোদ পরিসংখ্যান দফতর ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটে ৭% করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আইএমএফের পাশাপাশি পূর্বাভাস কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। তবে তা সত্ত্বেও ভারত এখনও অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধির দেশ। গীতার মতে, এ হেন সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশের উপরে সারা বিশ্বের নজর রয়েছে। তাই এ দেশ থেকে যে সমস্ত পরিসংখ্যান বেরোচ্ছে, তা আরও স্বচ্ছ ভাবে জানাতে হবে।
কর্মসংস্থান থেকে বৃদ্ধি— বার বার পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। অভিযোগ উঠছে, তা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর। ১০৮ জন অর্থনীতিবিদ পরিসংখ্যানে রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে সতর্ক করেছেন। সমীক্ষা প্রকাশ না করার প্রতিবাদে জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশন ছেড়েছেন দু’জন সদস্য। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর তথা আইএমএফের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ রাজনও বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বকে বোঝানো জরুরি যে আমরা তথ্যে কারচুপি করছি না।’’ সেই রাজন, যাঁকে গুরু বলে মানার কথা বলেছিলেন গীতাই।