গ্রাহকের হাতে ব্যাঙ্কের কার্ড তুলে দিচ্ছেন প্রসাদ। —নিজস্ব চিত্র।
এক গুচ্ছ প্রশ্ন জিইয়ে রেখেই যাত্রা শুরু করল ভারতীয় ডাক বিভাগের পেমেন্টস ব্যাঙ্ক পরিষেবা— ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। শনিবার দিল্লিতে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতার কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেন, ডাক বিভাগের মাধ্যমে গ্রাহকের দোরগোড়ায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই এর লক্ষ্য।
পেমেন্টস ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দেওয়া যায়। কিন্তু ঋণ দেওয়া যায় না। এই ঘাটতি পূরণ করতে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ডাকঘর পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ঋণ খেলাপের সমস্যা ও নীরব মোদী কেলেঙ্কারিতে এমনিতেই পিএনবি ন্যূব্জ। ফলে এই ব্যবস্থায় গ্রাহকদের আস্থায় টান পড়বে না তো?
এ দিন দেশের ৬৫০টি ডাকঘরে এই ব্যাঙ্ক চালু হয়েছে। ধাপে ধাপে সমস্ত ডাকঘরেই চালু হবে পেমেন্টস ব্যাঙ্কের কাউন্টার। গ্রাহক নিজের বাড়িতেও ডাক পিওন বা গ্রামীণ ডাক সেবককে ডেকে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে বা তুলতে পারবেন।
কলকাতার পোস্ট মাস্টার জেনারেল অরুন্ধতী ঘোষ বলেন, বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাঙ্কগুলি শাখা খুলতে পারেনি। সেখানে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। ঘটনা হল, ইতিমধ্যেই চালু বেসরকারি পেমেন্টস ব্যাঙ্কগুলি ডিজিটাল পরিকাঠামোর সাহায্যে খরচ কমাতে চাইছে। ডাকঘরগুলির মাধ্যমে পেমেন্টস ব্যাঙ্ক পরিষেবায় সেই পর্যায়ের ডিজিটাল পরিকাঠামো দেওয়া যাবে তো? তা ছাড়া অনেক ডাকঘরের এখনও সমস্যা কর্মীর অভাব। এই অবস্থায় দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার উপায় খুঁজতে হবে তাদের।