চাকায় গতি ফেরাতে এ বার নতুন পথে হেঁটে নজির গড়তে চায় ভারতীয় রেল।
উন্নত পরিকাঠামোর লক্ষ্যে বিদেশে ভারতীয় টাকার বন্ড ছাড়তে চলেছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। সব কিছু ঠিকঠাক চললে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি মেলার পরে তারাই হবে প্রথম ভারতীয় সংস্থা, যারা এই ধরনের ঋণপত্র বাজারে ছেড়ে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভিন্ন পথে পা বাড়াতে চলেছে।
ভারতীয় রেলের আর্থিক পরিষেবা সংক্রান্ত শাখা ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ ফিনান্স কর্পোরেশনের (আইআরএফসি) মাধ্যমেই বন্ড ছাড়ার কথা। পরিকল্পনা, এই খাতে ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬,৩০০ কোটি টাকা) পর্যন্ত তোলার। আইআরএফসি পর্ষদ এতে সায় দিয়েছে, জানান সংস্থার এমডি রাজীব দত্ত। তবে কত টাকা তোলা হবে, তা জানাতে পারেননি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শর্ত মেনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, এ মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারতীয় সংস্থাগুলিকে বিদেশে টাকার বন্ড ছাড়তে সায় দিয়েছে। তার পরই নতুন পরিকাঠামো গড়তে এবং তা রক্ষণাবেক্ষণে তহবিল সংগ্রহে এই পথে হাঁটছে রেল। এখন বিভিন্ন ব্যাঙ্কার ও আর্থিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে আইআরএফসি। উদ্দেশ্য, এ ধরনের বন্ডের বাজার কতটা ও কত দামে বিক্রি করা যাবে সেগুলি, তার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া। আপাতত তাদের পরিকল্পনা দেশ-বিদেশ মিলিয়ে বন্ড খাতে ২৮১ কোটি ডলার (১৭,৬৫৫ কোটি টাকা) তোলা।
বিদেশে টাকার বন্ড ছাড়তে সায় দেওয়ার আর এক কারণ হল, টাকার পূর্ণ বিনিময়যোগ্যতা। রঘুরাম রাজন ২০১৩-এ আরবিআই গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই পথে এগোনোর কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে ভারতীয় টাকা পণ্য ওপরিষেবা লেনদেন খাতে পূর্ণ বিনিময়যোগ্য, কিন্তু মূলধনী লেনদেন খাতে নয়। টাকা পূর্ণ বিনিময়যোগ্য হলে মূলধনী লেনদেনেও বাজারের হাতেই স্থির হবে তার বিনিময় মূল্য। সে ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নিকারীরা সহজেই এ ধরনের বন্ড ভাঙাতে পারবেন।