দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও বেশি বিদেশি পুঁজি টানতে চায় কেন্দ্র। তাই এই শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি আসার শর্ত ফের এক দফা শিথিল করার কথা ভেবে দেখছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি সংক্রান্ত দফতরের ডাকা বৈঠকে। যেখানে সিআইআই, ফিকি-সহ বিভিন্ন বণিকসভার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বিদেশি পুঁজি টানতে আর কী কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা নিয়ে ওই বৈঠকেই সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছ থেকে পরামর্শ চায় মন্ত্রক। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পমহল জানিয়েছে, যে-কোনও দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির কারখানা গড়ার পূর্বশর্ত হিসেবে বরাতের বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়।
এখন ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সরাসরি ৪৯% পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি অনুমোদিত। আর তার বেশি, অর্থাৎ ১০০% পর্যন্ত পুঁজি পেতে হলে নিতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি। যদিও সব রকম প্রস্তাবের ক্ষেত্রেই যে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়, তা নয়। আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরা যাবে, এমন বিষয়গুলিই মূলত প্রাধান্য পায়।
তবে এ দেশে এখনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনে শুধুমাত্র কেন্দ্র। পাশাপাশি এখান থেকে ওই সব পণ্য রফতানির নিয়মও খুব কড়া। তবে পরিসংখ্যান বলছে, সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ৭০ শতাংশই আমদানি করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মাত্র ২৫.৪৯ কোটি টাকার বিদেশি পুঁজি ভারতে পা রেখেছে।