—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটকপুরের ওই ঘটনায় শোরগোল সংশ্লিষ্ট এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃতের দাবি, ‘‘ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। পারিনি। ধোঁকা দিয়েছে আমাকে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম দেবাশিস নস্কর। দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী মৌমিতা নস্করকে তিনি খুন করেন বলে অভিযোগ। খুনের কথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত। স্ত্রীকে মেরে মাকে জানিয়েছিলেন অপরাধের কথা। মা-ই প্রতিবেশীদের মাধ্যমে থানায় খবর দেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়শই অশান্তি হত ওই দম্পতির। বৃহস্পতিবার রাতেও দম্পতির তুমুল অশান্তি হয়। রাস্তায় স্বামীকে মারধর করেন মৌমিতা। তার পরেই স্ত্রীকে খুন করেন স্বামী।
দেবাশিসের পরিবারের দাবি, মৌমিতা একাধিক বার স্বামী এবং সন্তানকে ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সে নিয়ে থানা-পুলিশ হয়। মীমাংসাও হয়েছিল। কিছু দিন আগে মৌমিতার বাপের বাড়ির লোক এসে মেয়েকে নিয়ে যান। সন্তানের কথা চিন্তা করে ঘুটিয়ারি শরিফে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে আবার বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিলেন দেবাশিস। কিন্তু কিছু দিন পরে আবার ঝগড়া শুরু হয় তাঁদের। সম্প্রতি ঘটকপুকুর খালপাড় এলাকায় ঘরভাড়া করেছিলেন যুবক। সেটাও নাকি অশান্তি এড়াতে। কিন্তু সেখানেও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ভাড়াবাড়ি থেকে মাকে ফোন করে স্ত্রীকে মেরে ফেলেছেন বলে জানান দেবাশিস। প্রৌঢ়া সে কথা প্রতিবেশীদের জানালে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে ঘটকপুকুর খাল থেকে মৌমিতার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।