উদ্বেগ বাড়ল আইএমএফের বার্তায়

কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তায় শিল্পও

কলকাতায় সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় দফতরের বার্ষিক সভায় মিত্তল সংশয় প্রকাশ করেন চলতি অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৭
Share:

সিএমআইই-র তথ্য বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের হার ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পরে সবচেয়ে বেশি।

কর্মসংস্থানে বেহাল দশার অভিযোগ তুলে নাগাড়ে মোদী সরকারকে বিঁধছেন বিরোধীরা। সিএমআইই-র তথ্য বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের হার ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পরে সবচেয়ে বেশি। আর বুধবার আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) অর্থনীতিবিদ জন ব্লুডর্ন জানালেন, বিশ্বে উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলির মধ্যে কর্মহীনতা সব থেকে বেশি ভারতীয় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যেই। প্রায় ৩০%। কর্মসংস্থান নিয়ে এ দিন উদ্বেগের সুর শিল্প মহলের একাংশের গলাতেও। বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট রাকেশ ভারতী মিত্তলের মতে, এখন সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত বিষয়গুলির সমাধান করা।

Advertisement

এ দিন কলকাতায় সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় দফতরের বার্ষিক সভায় মিত্তল সংশয় প্রকাশ করেন চলতি অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি নিয়ে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তা ছুঁয়েছিল পাঁচ ত্রৈমাসিকের তলানি। তুলেছেন নগদ জোগানে সঙ্কটের কথা। তার পরেই তুলে ধরেন শিল্পোন্নয়ন ও আর্থিক উন্নতির প্রেক্ষিতে কাজের সুযোগ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা। বলেন, ‘‘বছরে ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি যুবক কাজের বাজারে পা রাখছেন। প্রায় ৩০ কোটি ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সিরা ১০ বছর পরে চাকরি চাইবেন।’’

সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেরই প্রশ্ন, সেই সুযোগ তৈরি হচ্ছে কি? মিত্তল অবশ্য সরাসরি সেই প্রশ্ন তোলেননি। তবে এ নিয়ে উদ্বেগের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, সমস্যার সমাধান জরুরি। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘চাহিদার অভাবেই কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে নতুন লগ্নি আসছে না। যা বেশ চিন্তার।’’

Advertisement

সিআইআই পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, শিক্ষা শেষে বছরে প্রায় এক কোটি পড়ুয়া যেমন কাজ খুঁজছেন, তেমনই কৃষিতে আয় কমায় ওই ক্ষেত্র থেকে চাকরির খোঁজে বেরোচ্ছেন বাড়তি প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। কিন্তু সেই হারে সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। কারণ চাহিদা না বাড়ায় আসছে না লগ্নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন