উইপ্রোর পরে এ বার ইনফোসিস। রাজ্য সরকারের সুপারিশ না-থাকায় নিউটাউনে তাদের বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (সেজ) গড়ার আর্জি নিয়ে বিবেচনাই হল না কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের বৈঠকে।
রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সেজ গড়তে কেন্দ্রের সায় চেয়েছিল ইনফোসিস। এ জন্য সেজ সংক্রান্ত অনুমোদন পর্ষদের কাছে গত ৫ অগস্ট আবেদন জানিয়েছিল তারা। শুক্রবার দিল্লিতে বাণিজ্য সচিব রীতা টেওটিয়ার নেতৃত্বে পর্ষদের বৈঠক বসে। কিন্তু ইনফোসিসের সেজ-এর আবেদনে রাজ্যের সুপারিশ না-থাকায় তা বিবেচনাই হয়নি। বৈঠক শেষে মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, এই সায়ের জন্য রাজ্যের সুপারিশ হল প্রাথমিক শর্ত। তাই তা না-থাকায় বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। ওই সুপারিশের অপেক্ষায় এ বিষয়ে আলোচনা স্থগিত রাখা হয়েছে। এর আগে জুনে পর্ষদের বৈঠকে রাজারহাটে উইপ্রোর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সেজ তকমা নিয়েও এই একই কারণে সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইনফোসিসের এ রাজ্যে বিনিয়োগে বাধা প্রথম থেকেই। ২০০৫ সালে কলকাতায় এসে ক্যাম্পাস গড়তে লগ্নির কথা জানিয়েছিলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন কর্ণধার এন আর নারায়ণমূর্তি। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ৫০০ কোটি লগ্নি ও ৫,০০০ কর্মসংস্থানের। ২০০৬ সালে প্রকল্পের জন্য তদনীন্তন বাম সরকারের কাছে ১০০ একর জমি চায় সংস্থা। কিন্তু সমস্যা হয় দাম নিয়ে। শেষে ২০১০ সালের শেষ নাগাদ ৭৫ কোটির বিনিময়ে ৫০ একর দেওয়া হয় তাদের।
কিন্তু তারপরে ফের নতুন জট। গোড়া থেকেই নিজেদের সেজ-বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছিল তৃণমূল সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার বলেছেন সেজ-তকমা না দেওয়ার কথা। তারই জেরে ২০১১ সালে ইনফোসিস জানায় কলকাতার প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখার কথা। তবে গত বিধানসভা ভোটের দলীয় ইস্তেহারে সেজ বিরোধিতার কথা আর আলাদা করে উল্লেখ করেনি তৃণমূল।