অবশেষে বাজার থেকে নিজেদের শেয়ার কিনে তা ফেরানোয় সায় দিল ইনফোসিসের পরিচালন পর্ষদ। এ জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত উপুড় করবে তারা।
শনিবার স্টক এক্সচেঞ্জকে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি জানিয়েছে, শেয়ারহোল্ডারদের মুনাফার সুযোগ দিতে শেয়ার পিছু ১,১৫০ টাকা দামে মোট ১১ কোটি ৩০ লক্ষ শেয়ার বাজার থেকে কিনবে তারা। শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে শেয়ারের যা দর ছিল (৯২৩.১০ টাকা), তার তুলনায় প্রায় ২৫% বেশি।
শুক্রবারই সকলকে চমকে দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির এমডি-সিইও পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিশাল সিক্কা। এ জন্য নাম না-করেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন কর্ণধার এন আর নারায়ণমূর্তির দিকে। সিক্কার পাশে দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় মূর্তিকে বিঁধেছে ইনফোসিসের পর্ষদও। ঠিক সময়ে পাল্টা বয়ান দেবেন বলে জানিয়ে রেখেছেন মূর্তি। কিন্তু দিনভর এই নাটকীয় টানাপড়েনের মধ্যেও সংস্থা জানিয়েছিল, শেয়ার ফেরানোর যে -পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা থেকে তারা সরবে না। সেই প্রতিশ্রুতি রেখে শনিবারই তাতে সায় দেওয়ার কথা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাজার থেকে নিজেদের শেয়ার কেনার জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডার, এমনকী প্রতিষ্ঠাতাদের তরফেও বহু দিন ধরেই চাপ ছিল ইনফোসিসের উপরে। তা ‘আরও বাড়ে’ প্রতিদ্বন্দ্বী টিসিএস ১৬ হাজার কোটি টাকার শেয়ার ফেরানোর পরে। তারা শেয়ার মূলধনের ৩% ফিরিয়েছিল। এ বছরই মোট শেয়ার মূলধনের ৭.০৬% ফেরাবে উইপ্রো। অনেকের তাই ধারণা, ইনফোসিসের শেয়ার কেনা সময়ের অপেক্ষা ছিল। তাদের ফেরানোর কথা মোট শেয়ার মূলধনের ৪.৯%। বিষয়টি দেখভালের জন্য ৭ সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। সেখানে রয়েছেন মার্চ পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সিক্কাও।
মার্কিন সংস্থার তদন্ত। ভুল তথ্য দিয়ে ইনফোসিস লগ্নিকারীদের বিভ্রান্ত করেছে কি না, তা নিয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে চার মার্কিন আইনি উপদেষ্টা সংস্থা। কোনও ডিরেক্টর বা কর্তা নিয়ম ভেঙেছেন কি না, খতিয়ে দেখবে তা-ও।