ইনফোসিস জটিলতা কাটাতে নতুন সূত্র

সূত্রের খবর, জমির মিশ্র ব্যবহারের অনুমতিও পেতে চলেছে ইনফোসিস। জমির ৫১% এলাকা জুড়ে তৈরি করতে হবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ব্যবহার করার মতো পরিকাঠামো। বাকি ৪৯% জমি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ছাড়াও অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে সংস্থা। সংস্থা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসকে ধরে রাখতে জমির মালিকানা নীতিতে বদল করছে রাজ্য। ‘সেজ’ (স্পেশ্যাল ইকনমিক জোন) তকমা না পেলেও জমির মালিকানা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড় পেতে চলেছে দেশের অন্যতম সেরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি। আজ শুক্রবার, এই নয়া প্রস্তাবে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিলমোহর দেওয়ার কথা।

Advertisement

রাজারহাটে ৫০ একর জমি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে লিজে পেয়েছে ইনফোসিস। নবান্ন সূত্রের খবর, লিজ স্বত্ত্ব নয়, ইনফোসিসকে পুরোপুরি ওই জমির মালিকানা (ফ্রি-হোল্ড) দেবে সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, লিজের জমি বিক্রি করা যায় না। কিন্তু ফ্রি-হোল্ড জমি বিক্রি করা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, উইপ্রোকেও একই প্রস্তাব দিতে পারে রাজ্য।

সূত্রের খবর, জমির মিশ্র ব্যবহারের অনুমতিও পেতে চলেছে ইনফোসিস। জমির ৫১% এলাকা জুড়ে তৈরি করতে হবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ব্যবহার করার মতো পরিকাঠামো। বাকি ৪৯% জমি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ছাড়াও অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে সংস্থা। সংস্থা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

Advertisement

গত মাসের শেষেই ইনফোসিসের জট খুলেছে বলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘সেজ দেওয়া হবে না। অন্য সব সুবিধা দেবে রাজ্য। ইনফোসিসও জানিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা শিল্পবান্ধব রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। প্রাথমিক ভাবে ৫০ একর জমিতে প্রকল্প গড়তে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।’’

সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের মধ্যে তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, ‘সেজ’ তকমা ছাড়াই এত দিন পরে প্রকল্প তৈরি করতে রাজি হল কেন ইনফোসিস? সংস্থার ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদলের পেছনে জমির মালিকানার চরিত্র বদলই মূল কারণ কি না, তা নিয়েও জল্পনা চলছে শিল্পমহলে। কারণ ‘সেজ’-এ ব্যবসা করার প্রধান আকর্ষণ কর্পোরেট কর, আমদানি শুল্ক, পরিষেবা কর, উৎপাদন শুল্ক, কেন্দ্রীয় বিক্রয় করে ছাড় পাওয়া। যে ছাড় রাজ্য সরকারের দেওয়ার ক্ষমতা নেই।

২০০৫-এর সেপ্টেম্বরে ইনফোসিসের কর্ণধার নারায়ণমূর্তি জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চান তিনি। ২০০৬-এ প্রকল্পের জন্য ১০০ একর জমি সরকারের কাছে চায় সংস্থা। কিন্তু দাম নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালের শেষে ৭৫ কোটি টাকায় ৫০ একর জমি দেওয়া হয় সংস্থাকে। তবে ২০১১-র এপ্রিলে সংস্থা জানায়, কলকাতার প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখছে তারা।

জমির মালিকানা নীতির সঙ্গেই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ টানতে নয়া ‘ইনসেনটিভ’ নীতিও তৈরি করছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার বণিকসভা সিআইআই-এর অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি সচিব দেবাশিস সেন জানান, পুজোর পরেই এই নীতি তৈরি হয়ে যাবে। এর আগের ইনসেনটিভ প্রকল্পের মেয়াদ অগস্ট মাসে শেষ হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন