পিএনবি-র মাথাব্যথা গ্রাহকের দুশ্চিন্তা, জারি বিতর্ক

সুখতলা খইয়েও মিলবে না ঋণ, চিন্তায় পরিকাঠামো

মঙ্গলবার সিআইআইয়ের ‘ইনফ্রা ইস্ট ২০১৮’ শীর্ষক সভায় সৌগতবাবুর দাবি, বৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে দেশে বিশ্বমানের পরিকাঠামো জরুরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এমনিতেই বিপুল অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় নাজেহাল ব্যাঙ্কগুলি। যার অন্যতম কারণ, বহু পরিকাঠামো সংস্থার ধার শোধ করতে না পারা। ফলে তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই কড়া রাশ টেনেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে নীরব কেলেঙ্কারি পরিকাঠামো শিল্পের ঋণ পাওয়ার সমস্যা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়ের। তাঁর সঙ্গে সহমত শিল্প মহলের একাংশও।

Advertisement

মঙ্গলবার সিআইআইয়ের ‘ইনফ্রা ইস্ট ২০১৮’ শীর্ষক সভায় সৌগতবাবুর দাবি, বৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে দেশে বিশ্বমানের পরিকাঠামো জরুরি। অথচ জমি, পরিবেশ-সহ বিভিন্ন ছাড়পত্র পেতেই নাজেহাল হয় এই শিল্প। তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থায় পিএনবিতে প্রতারণা ব্যাঙ্কিং শিল্পের ভিত্‌কেই নাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদ। ফলে ঋণে আরও কড়াকড়ি হতে পারে। যার জের পড়তে পারে পরিকাঠামো শিল্পে।’’

শিল্প মহলের একাংশেরও বক্তব্য, সার্বিক ভাবেই ঋণ পেতে সমস্যায় পড়ছে সংস্থাগুলি। পরিকাঠামো প্রকল্প দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ায় ও সরকারি অনুমোদনে সময় লাগায় তাদের অবস্থা আরও করুণ। নীরব-ধাক্কার জেরে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দিতে আরও দেরি করলে বিপদে পড়বে তারা। উমেশ চৌধুরি, স্মিতা পণ্ডিত চৌধুরি ও সুভাষচন্দ্র শেঠির মতো সিআইআই কর্তাদের দাবি, এক বছরে পরিকাঠামোয় ঋণ কমেছে প্রায় ৮%।

Advertisement

পরে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মূলধন জোগালেও, পিএনবির মতো ঘটনায় তা বেরিয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের টেকা মুশকিল। কেন্দ্র বা আরবিআই থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা দেখাচ্ছে, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ব্যর্থ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন