ইটিএফে আয় নামমাত্র

শেয়ারে লগ্নি খতিয়ে দেখছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ

শুরুর তিন মাসের মাথাতেই ধাক্কা খেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রকল্প। এই লগ্নির উপর আয় নিয়ে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ কর্তৃপক্ষের অছি পরিষদে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:০২
Share:

শুরুর তিন মাসের মাথাতেই ধাক্কা খেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রকল্প। এই লগ্নির উপর আয় নিয়ে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ কর্তৃপক্ষের অছি পরিষদে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে তবেই করা হবে নতুন লগ্নি।

Advertisement

কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত অগস্ট থেকে পিএফের টাকা শেয়ার বাজারে লগ্নি শুরু হয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডের এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) প্রকল্পের মাধ্যমে। ঠিক হয়, এই অর্থবর্ষে ঢালা হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসে মোট লগ্নি হয়েছে ২,৩২২.১০ কোটি। কিন্তু শেয়ার বাজারে পিএফের টাকা লগ্নি থেকে আয় কেমন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছে যে, ওই তিন মাসে বার্ষিক হিসাবে আয় হয়েছে ১.৫২%। অছি পরিষদের মতে, যা আদৌ সন্তোষজনক নয়। তাই পিএফ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরেই নতুন করে টাকা ঢালা হবে।

কেন্দ্রীয় প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার কে কে জালান বলেন, ‘‘প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে বিশেষ করে অছি পরিষদে ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, আশার তুলনায় অনেক কম আয় হয়েছে ওই বিনিয়োগ থেকে। তাই এ নিয়ে পিএফের ফিনান্স, অডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিটির (এফএআইসি) বৈঠকে আলোচনা হবে। বৈঠক ডাকা হবে শীঘ্রই।’’ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিএফের টাকা লগ্নির বিষয়টি পরিচালনার দায়িত্ব এফএআইসির। ইটিএফে লগ্নির বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাদের রিপোর্ট অছি পরিষদের বিবেচনার জন্য পেশ করবে এফএআইসি। কবে বৈঠক হবে তা না-জানালেও, জালানের কথা থেকে ইঙ্গিত, ৯ ডিসেম্বর অছি পরিষদের বৈঠকের আগে এফএআইসির বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা কম।

Advertisement

জালানের অবশ্য মত, মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ থেকে আয়ের হিসাব মাসিক ভিত্তিতে করা ঠিক নয়। দীর্ঘ মেয়াদে বেশি আয়ের সম্ভাবনা থাকে এখানে। তাই লগ্নির পরে অন্তত ৫ বছর কাটলে আয়ের হিসাব কষা উচিত।

গত দুই অর্থবর্ষে (২০১৩-’১৪ ও ২০১৪-’১৫) পিএফে জমা টাকায় সুদ দেওয়া হয়ে ৮.৭৫% হারে। আশা, ২০১৫-’১৬ সালের জন্যও অন্তত ওই সুদই বহাল রাখা হবে। প্রসঙ্গত, পিএফের টাকার উপর সুদ যাতে বাড়ানো যায়, সেই লক্ষ্যেই শেয়ার বাজারে তা লগ্নির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন