আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ফাঁস চেপে বসেছে ইরানের গলায়। টান পড়তে পারে খাদ্যপণ্যের মজুতে। এই অবস্থায় চিনি কেনার জন্য ভারতীয় রফতানিকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল তেহরান। অন্তত পাঁচ বছর পর।
২০১৫ সালে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল আমেরিকা। কিন্তু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে তেহরান সাহায্য করছে বলে অভিযোগ তুলে গত বছর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। ফলে প্রধান রফতানি পণ্য অশোধিত তেল রফতানি করতে গিয়ে যেমন সমস্যায় পড়েছে তেহরান, তেমনই চাপে পড়েছে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে গিয়ে। কারণ মার্কিন ডলারের সাহায্যে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালাতে পারছে না তারা।
এই অবস্থায় রফতানি বাণিজ্য ক্ষেত্রের খবর, মার্চ এবং এপ্রিলে চিনির আমদানি যাতে নির্বিঘ্নে হয় তার জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গভর্নমেন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন। ওই দু’মাসে প্রায় দেড় লক্ষ টন কাঁচা চিনি রফতানি হবে ভারত থেকে। প্রতি টনের দাম ৩০৫-৩১০ ডলার। এর ফলে উপকৃত হতে পারে এ দেশের চিনিকলগুলি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের তেল রফতানি ধাক্কা খেয়েছে। সে কারণে টাকায় ভারতকে তেল বেচতে রাজি হয়েছে তারা। দিল্লির মেটানো সেই টাকা পড়ে ইউকো ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। সেই টাকাতেই চিনির দাম মেটাবে তেহরান।