টানাটানির সংসার, কলকাতায় কোপ উড়ানে

জেট এয়ারওয়েজের আর্থিক সমস্যা নতুন নয়। গত কয়েক মাস ধরেই নিয়মিত বেতন হচ্ছে না পাইলট, ম্যানেজার ও উচ্চপদস্থ কর্মীদের। কেউ কেউ সংস্থা ছেড়েছেন।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

জেট এয়ারওয়েজের আর্থিক সমস্যা নতুন নয়।

আর্থিক সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই জর্জরিত জেট এয়ারওয়েজ। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক রুটে উড়ান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বাদ যায়নি কলকাতাও। এই শহর থেকেও ধীরে ধীরে নিজেদের বিমানের সংখ্যা কমাতে শুরু করেছে জেট। মে মাসে যেখানে কলকাতা থেকে রোজ ২৭টি উড়ান যাতায়াত করত, সেখানে এখন উড়ান রয়েছে মাত্র ১২টি। গত মঙ্গলবারই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫টি উড়ান। গত কয়েক মাসে বন্ধ করা হয়েছে সরাসরি বেঙ্গালুরু, বাগডোগরা, আইজল, শিলচর, ইম্ফল, জোরহাটের বিমানগুলিও।

Advertisement

জেট এয়ারওয়েজের আর্থিক সমস্যা নতুন নয়। গত কয়েক মাস ধরেই নিয়মিত বেতন হচ্ছে না পাইলট, ম্যানেজার ও উচ্চপদস্থ কর্মীদের। কেউ কেউ সংস্থা ছেড়েছেন। সম্প্রতি জেট জানিয়েছে, পাইলট ও উচ্চ বেতনের অফিসারদের আপাতত প্রতি মাসে পুরো বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। বেতন প্রতি মাসে ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। এই অবস্থায় সংস্থার আরেক অংশীদার এতিহাদ এয়ারওয়েজের পুঁজির অংশ বাড়িয়ে নিজের অংশীদারি কমানোর জন্য চাপ বাড়ছে জেটের কর্ণধার নরেশ গয়ালের উপরে। আপাতত খরচ টানার জন্য এতিহাদের থেকে কম সুদে ঋণও চেয়েছে জেট। খরচ কমাতে বন্ধ করা হচ্ছে ইকনমি ক্লাসে নিখরচার খাবার। জেট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ইকনমি ক্লাসের যাত্রীরা বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটলেই খাবার পাবেন। নিখরচায় খাবার পাবেন শুধু বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা। বাকিদের খাবার কিনে খেতে হবে। ঠিক যেমন সস্তার বিমান সংস্থায় খেতে হয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এপ্রিলের পর থেকে ছবি বদলাবে।

কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, সংস্থায় যে আর্থিক অনটন চলছে, এটি তারই প্রতিচ্ছবি। এই অবস্থায় মুম্বইয়ের সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, যে রুটগুলি লাভজনক এখন শুধু সেই সব রুটেই উড়ান চালানো হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই কোপ পড়েছে কলকাতার উড়ানে। এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছে দিনে দু’টি উড়ান এবং মুম্বই যাচ্ছে ৭টি। কলকাতা থেকে প্রতি দিন গুয়াহাটি, পুণে ও ঢাকায় একটি করে উড়ান চালানো হচ্ছে। গুয়াহাটির বিমানটিই উত্তর-পূর্বের বাকি শহরগুলিতে যাচ্ছে। যদিও ফেব্রুয়ারি থেকে জোরহাট, আইজল, ইম্ফল, শিলচর থেকে তা বন্ধ করা হবে বলে কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন