ফাইল চিত্র।
পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। পরিকাঠামোর অভাবে কিনতে পারছে না পাট নিগমও। ফলে চাষিদের অনেক কম দামে বাজারে কাঁচা পাট বিক্রি করে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি বুঝে আজ, বুধবার নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছে কৃষি দফতর। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি কেন্দ্রীয় নিগম, সমিতি ও চটকল মালিকদের সংগঠনকে ডাকা হয়েছে।
এ বছর রাজ্যে অন্তত ৬৫ লক্ষ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানে পাট নিগম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৮ হাজার বেল পাট কিনতে পেরেছে। কৃষি দফতরের এক কর্তার দাবি, এই মরসুমে মাত্র ২৭টি কেন্দ্রে নিগম চাষিদের থেকে পাট কিনেছে, যেখানে তাদের ১৭১টি কেন্দ্র রয়েছে। মূলত লোকবল ও অন্যান্য পরিকাঠামোর অভাবেই পাট কেনায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে রাজ্য মনে করছে। আর তার জেরে কয়েক লক্ষ পাট চাষিকে চরম সঙ্কটে পড়তে হয়েছে বলে ওই কর্তার দাবি। রাজ্যের বক্তব্য, গত মরসুমেও পাট নিগম চাষিদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৫৬ হাজার বেলের মতো পাট কিনেছিল। কিন্তু এ বছর সরকারি দরের থেকে প্রায় ৭০০ টাকা কম দামে বাজারে পাট বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের ‘জুট কন্ট্রোল অর্ডার’ অনুযায়ী এ ধরনের কেনা-বেচা বন্ধ করে দেওয়া বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলেই প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ বছর বন্যার কারণে এমনিতেই মাঠে প্রচুর পাট নষ্ট হয়েছে। তার উপর বাজার দরও নিম্নমুখী। অভিযোগ, আড়তদাররাই পাটের বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করছে। মাঝে মুনাফা করে বেরিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। মরসুমের শুরুতেই পাট নিগম জানিয়েছিল, পাটে ১৮ শতাংশের বেশি জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকলে তারা সেই পাট কিনবে না। তা নিয়েও চাষিদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অগস্ট মাস থেকে কেনা শুরু হলেও পাট নিগম তাদের প্রতিটি কেন্দ্র চালু করতে না-পারায় বাড়তি সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেই রাজ্য মনে করছে। এই সঙ্কটের হাত থেকে মুক্তির কিছু পথ খুঁজতেই নবান্নে রাজ্যের বৈঠক বলে সূত্রের খবর।