রাস্তা পোক্ত করতে এ বার পাটতন্তু

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে রাস্তা তৈরিতে পাট ব্যবহারে সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছে রাস্তা তৈরির প্রযুক্তিবিদদের সংগঠন ইন্ডিয়ান রোডস কংগ্রেস। ফলে প্রতিটি রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো প্রকল্পে রাস্তা তৈরির সময়ে পাটের ব্যবহার বাড়বে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ১৪:১০
Share:

পিচ, পাথরকুচি তো থাকছেই। এ বার পাটও বড় ভূমিকা নেবে রাস্তা তৈরিতে। তাতে একসঙ্গে দু’টি কাজ হবে। প্রথমত, পাটতন্তু ব্যবহার করলে রাস্তা হবে পোক্ত আর টেকসই। দ্বিতীয়ত, এতে পাটচাষিরা ন্যায্য দাম পাবেন। এতে পশ্চিমবঙ্গের মতো পাট উৎপাদক রাজ্যই আখেরে লাভবান হবে বলে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের দাবি।

Advertisement

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে রাস্তা তৈরিতে পাট ব্যবহারে সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছে রাস্তা তৈরির প্রযুক্তিবিদদের সংগঠন ইন্ডিয়ান রোডস কংগ্রেস। ফলে প্রতিটি রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো প্রকল্পে রাস্তা তৈরির সময়ে পাটের ব্যবহার বাড়বে।

সোমবার কলকাতায় ‘টেক্সটাইল ইন্ডিয়া-২০১৭’ নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব সুব্রত গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রায় সাত বছর ধরে ইন্ডিয়ান রোডস কংগ্রেসকে বলে আসছি, রাস্তা তৈরিতে পাট ব্যবহারে তারা যেন অনুমতি দেয়। গত সপ্তাহে সেই অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।’’

Advertisement

এ দিন সুব্রতবাবু জানান, এত দিন কয়েকটি রাজ্য রাস্তা তৈরিতে পাটের বিশেষ তন্তু ব্যবহার করত। কিন্তু ইন্ডিয়ান রোডস কংগ্রেসের সম্মতি না-থাকায় বিষয়টি থমকেই ছিল।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় এ-পর্যন্ত সারা দেশে ৬৫টি রাস্তায় পাটতন্তু ব্যবহার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও পাট ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ৪৫০ কিমি রাস্তায়। বস্ত্র মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, রাস্তা তৈরির একটি বিশেষ পর্বে পাটতন্তু ব্যবহার করলে রাস্তা পোক্ত হয়, টেকেও দীর্ঘদিন।

বস্ত্র রফতানি বাড়াতে জোর: বস্ত্র রফতনিতে ভারতের স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। প্রথমে চিন। আর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় রফতানি বাড়াতে ৩০ জুন গুজরাতের গাঁধীনগরে বস্ত্র মেলার আয়োজন করছে কেন্দ্র। এই ‘টেক্সটাইল ইন্ডিয়া-২০১৭’ নিয়ে শহরে সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রত গুপ্ত জানান, মেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২,৫০০ বড় আমদানিকারী সংস্থা আসবে। থাকবে পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্য। ফলে বিপণনের সুযোগ তৈরি হবে। এই মুহূর্তে ভারত ৩,৯০০ কোটি ডলার মূল্যের বস্ত্র রফতানি করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন