ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে শালপাতা কিনবে খাদি

ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া জুড়ে শালপাতার থালা-বাটি তৈরি করে দিন গুজরান করেন স্থানীয় বহু মানুষ।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০১:৫০
Share:

মনোযোগ: চলছে শালপাতা থেকে থালা তৈরি। বেলপাহাড়ির আমলাশোল গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

এ বার সরকার নির্দিষ্ট দামে শালপাতার থালা বিক্রির সুযোগ পাবেন জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা। প্রতিটির ন্যূনতম দাম ৭০ পয়সা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সেই থালা কিনবে পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া জুড়ে শালপাতার থালা-বাটি তৈরি করে দিন গুজরান করেন স্থানীয় বহু মানুষ। খাদির সিইও মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, অভিযোগ আসে অনেক সময়ই ঠিক দাম পান না তাঁরা। ওড়িশা, ঝাড়খন্ড এমনকি কলকাতার বহু ব্যবসায়ীও জঙ্গলমহল থেকে সেগুলি কেনেন। কিন্তু পাতার জোগান বেশি থাকলে দাম নামে ২০-২৫ পয়সায়। তাই তখন প্রতিটি থালা ৭০ পয়সায় কিনবে খাদি। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে এ নিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা প্রচারও শুরু করবেন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি দামেই সারা বছর পর্ষদকে শালপাতা বেচতে হবে, তা নয়। দর বেশি মিললে বাজারেও বিক্রি করা যাবে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রাজ্যের উদ্যোগে কয়েক বছর ধরে জঙ্গলমহলের অধিকাংশ জেলায় যন্ত্রের সাহায্যে শালপাতা দিয়ে খাবারের পাতা, বাটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পণ্যগুলির উৎকর্ষ কেন্দ্রও গড়েছে খাদি। কিন্তু নানা সুবিধা আনা আনলেও, জোগান বেশি হলে দাম পড়ে। অথচ পাতা ঘরে জমিয়ে রাখলে শুকিয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। মজুত করার বিজ্ঞানসম্মত পরিকাঠামোও জেলাগুলিতে বিশেষ নেই। ফলে তখন যে দাম পাওয়া যায়, তাতেই শালপাতা বেচতে বাধ্য হন স্থানীয়রা। তাই সহায়ক মূল্যের নতুন এই সিদ্ধান্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন