সংস্থা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইউনিয়নের বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু তা যেন শত্রুতায় পরিণত না হয়। কর্মী-কর্তৃপক্ষ সম্পর্কের উন্নতির জন্য আলোচনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সিআইআইয়ের এক সভায় এই মন্তব্য আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি দোলা সেনের। তিনি বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে সংগঠনের নেতাদের ভূমিকা অনুঘটকের। যাতে দু’পক্ষের মধ্যে বিশ্বাস ও সমন্বয়ের জায়গা গড়ে ওঠে।’’ আর সেই জমি তৈরির জন্যই আলোচনা জরুরি বলে দাবি দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের। সিআইআই পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান উমেশ চৌধুরীর মতে, নিয়মতি আলোচনার পরিবেশ শ্রম বিরোধের প্রতিষেধকের কাজ করে।
বিরোধ কমাতে কর্মীর দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, স্বাস্থ্য ইত্যাদির মান সংক্রান্ত সূচক তৈরিতে জোর দেন জামসেদপুর এক্সএলআরআইয়ের মানবসম্পদ পরিচালনা বিষয়ের অধ্যাপক কে আর শ্যামসুন্দর। আইএনটিইউসির রাজ্য সভাপতি রমেন পান্ডে বলেন উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং কর্মীদের সঠিক বেতন ও পিএফ, ইএসআই বা গ্র্যাচুইটির মতো পাওনা মেটানো নিশ্চিত করায়। তবে সিটুর রাজ্য কমিটির সক্রেটারি এবং রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী অনাদি সাহু-র মন্তব্য, শুধু বেসরকারি শিল্প নয়, শ্রম আইন অনেক সময় মেনে চলে না রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারও।