—প্রতীকী চিত্র।
আবার পাহাড়ে গাড়ি বিভ্রাট! আভিযোগ, দার্জিলিঙে বা ওই অঞ্চলের পাহাড়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন সমতলের চালকেরা। বারবার বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই এ বার শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের দ্বারস্থ হলেন চালক অ্যাসোসিয়েশন-সহ ট্যুর অপারেটরেরা। সোমবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা জানান মেয়রকে। গৌতম পুরো বিষয়টি শুনে পাহাড়ের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখন বিষয়টি এমন হয়েছে যে পাহাড়ে গাড়ি নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন চালকেরা।
শিলিগুড়ি থেকে প্রতিদিন আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার গাড়ি পর্যটক নিয়ে পাহাড়ে যাতায়াত করে। অনেকে আবার পাহাড়ে ‘সাইট সিয়িং’ এর জন্য গাড়ি রেখে দেন। আর সেই গাড়িতেই গোটা পাহাড় ঘোরেন। কিন্তু পাহাড়ের চালকেরা এটা করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাঁরা সমতলের গাড়ি নিয়ে সাইট সিয়িং করলেই বাধা দিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, পাহাড়ে ঘুরতে গেলে স্থানীয় চালকদের গাড়িই নিতে হবে। তাই নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন৷ এর পর বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। মাঝে বৃহস্পতিবার তাঁরা মহকুমাশাসকের দফতরে বৈঠকে বসেন। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে এখন থেকে সব গাড়ি সব জায়গায় চলাচল করতে পারবে। কিন্তু তার পরও সমস্যা মেটেনি বলে দাবি সমতলের চালকদের। তাঁরা পাহাড়ে গেলেই তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। আশঙ্কা, এতে সমস্যায় পড়তে পারেন পর্যটকেরাও। বারবার গাড়ি বদল করলে তাঁদের খরচও বেড়ে যাবে। তাই সোমবার ফের মেয়রের সঙ্গে বৈঠক বসেন পাহাড়ের বিভিন্ন বিভাগের ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, “আমাদের যা দাবি ছিল তা মেনে নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু আবার আমাদের চালকদের হেনস্থার মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে। মেয়র বলেছেন পাহাড়ের প্রশাসনের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।”
অন্য দিকে মেয়র গৌতম দেব বলেন, “আমি শুনেছি ওদের সমস্যার কথা। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি পাহাড়ে কথা বলব। যাতে সবাই সব জায়গায় যেতে পারেন।”
এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের সমস্যা থাকলেও পর্যটক যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হয়নি। আশঙ্কা, বারবার গাড়ি বদল করলে পর্যটকদের বাড়তি খরচা হতে পারে। সেই কথা ভেবেই সমতলের চালকেরা চাইছিলেন তাঁরাও যাতে পাহাড়ে সাইট সিয়িং করাতে পারেন। তাঁদের কথায়, পাহাড়ও বাংলার অংশ। তাই কোনও রকম বাধা থাকা উচিত নয়। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের দাবি প্রশাসন মেনে নিলেও, সমস্যার সমাধান এখনও পর্যন্ত মেলেনি।