নিলামই পথ, মত ঋণদাতাদের

মার্চের শেষের দিকে ঋণদাতারা সংস্থার ৫১% অংশীদারি হাতে নিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও পুঁজি না মেলায় উঠেছিল প্রশ্ন। আজ তারই ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৩১
Share:

উড়ান বন্ধ। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে জেট এয়ারের বিমান।

পুঁজির অভাবে বুধবার থেকে সাময়িক ভাবে ডানা গুটিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। আর বৃহস্পতিবার ঋণদাতারা জানিয়ে দিল, নিলামের মাধ্যমেই ঋণ জর্জরিত সংস্থাটিকে বাঁচানো সম্ভব।

Advertisement

মার্চের শেষের দিকে ঋণদাতারা সংস্থার ৫১% অংশীদারি হাতে নিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও পুঁজি না মেলায় উঠেছিল প্রশ্ন। আজ তারই ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। জানিয়েছে, নিলামই সংস্থা বাঁচানোর সবচেয়ে ভাল পথ। অনেক ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বিবৃতিতে ঋণদাতারা বলেছে, ‘‘নিলাম প্রক্রিয়ার সাফল্য ও ভাল দর পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’’

প্রশ্ন উঠেছে এখানেও। মার্চের শেষের দিকে জেটের ককপিটের দায়িত্ব নিলেও নিলাম প্রক্রিয়ায় কি যথেষ্ট দেরি হয়ে গেল না? কারণ, এরই মাঝে একের পর এক বসে গিয়েছে জেটের বিমান। পাওনাদারদের কাছেও ধারের অঙ্ক আকাশ ছুঁয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র এক আধিকারিকের বক্তব্য, জেটকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে বিধির মধ্যে থেকেই যথাসম্ভব সাহায্য করবেন তাঁরা। কিন্তু এ জন্য ‘শক্তপোক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য’ পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে জেটকে। অনেকের বক্তব্য, খুব তাড়াতাড়ি কোনও সংস্থা ভাল অঙ্কের পুঁজি নিয়ে না এলে সেই কাজও বেশ শক্ত। এই প্রসঙ্গে তারা মনে করিয়ে দিয়েছে যে, এর আগেও জেটে পুঁজি ঢালার ব্যাপারে বিভিন্ন সংস্থার নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু কোনও জল্পনাই বাস্তবের রূপ পায়নি।

জেটের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে শেয়ার দরেও। বিএসইতে ৩২.২৩% পড়ে তা থামে ১৬৩.৯০ টাকায়।

এই অবস্থায় দু’টি বিষয় উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিমান মন্ত্রকের। এক, জেটের পরিষেবা স্থগিত হওয়ার ফলে সামগ্রিক ভাবেই উড়ানের সংখ্যা কমে গিয়েছে। দুই, বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে এই সমস্যা। টিকিটের দাম বেড়েছে ৩০-৪০%। বিমান মন্ত্রকের সচিব প্রদীপ সিংহ খারোলা এ দিন সন্ধ্যায় দফায় দফায় বৈঠক করেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন বিমানবন্দরের পরিচালনা সংস্থার সঙ্গে। সূত্রের খবর, জেটের পরিষেবা স্থগিত হওয়ার জন্য যে সমস্ত উড়ানসূচি ফাঁকা হয়েছে, সেগুলি পূরণের ব্যাপারেই বৈঠকে কথা হয়েছে। দিল্লি ও মুম্বইয়ে ফাঁকা হওয়া ৪৪০টি উড়ানসূচি অন্যান্য সংস্থাকে বণ্টন করা হতে পারে।

এ দিকে, যে সমস্ত যাত্রী আগেই জেটের আন্তর্জাতিক উড়ানের টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ভাড়ার সুবিধা ঘোষণা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। গত মাসে যদিও তারা জানিয়েছিল, জেটের বাতিল হওয়া উড়ানের যাত্রীদের নিজেদের বিমানে জায়গা দেওয়া হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন