অমিত মিত্র।
রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্পিডব্রেকার বলায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘এক্সপায়ারিবাবু’ বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা পরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র প্রধানমন্ত্রীকে ‘ডিরেলড মাস্টার’ (লাইনচ্যুত মাস্টার) বলে কটাক্ষ করেন।
নরেন্দ্র মোদীর গত পাঁচ বছরে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা করে অমিতবাবু বলেন, ‘‘২০১৫-১৬ সালে দেশের জিডিপি হার ছিল ৮.১৫%। নোটবন্দির জেরে দেশের জিডিপি হার ২০১৭-১৮-তে নেমে দাঁড়াল ৬.৭%-এ। উৎপাদন শিল্প বৃদ্ধির হারও ১৩.০৬% থেকে কমে ৫.৯৩% হয়েছে।’’ গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব গত বছরে বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় তথ্য উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। দেশের অনুৎপাদক সম্পদের হার মোদী-জমানায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে বলে তথ্য দেন অমিতবাবু। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছে বলে দাবি করে অমিতবাবু বলেন, ‘‘২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ২২.৬৩%। কিন্তু ২০১৭-তে তা -১০.২৬% হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘৫৫ মাসে ৯২ বার বিদেশ ভ্রমণ করেও বিদেশি বিনিয়োগ কেন শূন্যের নীচে, প্রধানমন্ত্রী এর জবাব দিন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জিডিপি হারের পাশাপাশি পরিকল্পনা খাতে রাজ্যের ব্যয় গত সাড়ে সাত বছরে কতটা বৃদ্ধি হয়েছে, তারও তথ্য দেন অর্থমন্ত্রী। অমিতবাবু কথায়, ‘‘রাজ্যে ক্ষমতায় আসার সময়ে আমাদের রাজস্ব আদায় ছিল ২১ হাজার কোটির মতো। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে এ সব তথ্য— উি কি বোঝেন এ সব? তা হলে কী ভাবে এ সব অভিযোগ করছেন?’’ মোদী জমানায় দেশে আর্থিক দুর্নীতিও বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন অমিতবাবু।