ঘাটতিকে বাঁধতে সেই তেলের পড়তি দরই হাতিয়ার কেন্দ্রের

অর্থ বছর শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবারই। এক দিকে কর বাবদ আয় আশানুরূপ না-হওয়া, অন্য দিকে মাত্রা ছাড়া খরচ — এই দুই ধাক্কা সত্ত্বেও রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা জাতীয় আয়ের ৩.৯ শতাংশেই থাকবে বলে অর্থ মন্ত্রক আশা করছে। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়া ও ভারতে তার উপর কর বসিয়ে বাড়তি আয় থেকেই ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখা সম্ভব হবে বলে অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩২
Share:

সেই তেলের কম দামই মুখ রক্ষা করছে অরুণ জেটলির।

Advertisement

অর্থ বছর শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবারই। এক দিকে কর বাবদ আয় আশানুরূপ না-হওয়া, অন্য দিকে মাত্রা ছাড়া খরচ — এই দুই ধাক্কা সত্ত্বেও রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা জাতীয় আয়ের ৩.৯ শতাংশেই থাকবে বলে অর্থ মন্ত্রক আশা করছে। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়া ও ভারতে তার উপর কর বসিয়ে বাড়তি আয় থেকেই ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখা সম্ভব হবে বলে অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান।

রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার আত্মবিশ্বাস থেকেই আগামী সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমাবে বলে মনে করছে অরুণ জেটলির মন্ত্রক। জেটলি নিজেও ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সুদ কমালে অর্থনীতির চাকাতেও গতি আসবে। তার পথ তৈরি করতেই স্বল্প সঞ্চয়েও সুদ কমিয়েছে সরকার। সুদের হার কমলে শিল্পের মন্দা দশাও কাটবে বলে অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি।

Advertisement

শিল্পে মন্দার জেরেই সদ্য শেষ হওয়া অর্থ বছরে (২০১৫-’১৬) মোদী সরকারের প্রত্যক্ষ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। কিন্তু সে অভাব পূরণ করে দিয়েছে পরোক্ষ কর বাবদ আয়। যার মধ্যে সব থেকে বড় ভূমিকা হল তেলের উপর বসানো উৎপাদন শুল্কের। পাঁচ বার তেলের উপর কর বসিয়ে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয়ের আশা করছে মোদী সরকার। অর্থ সচিব রতন ওয়াটালের মতে, আর পাঁচ থেকে ছ’দিনের মধ্যেই যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। আশা করা হচ্ছে, পরোক্ষ করে লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা বেশি আয় হবে। পরিকল্পনা খাতে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসুবিধা হবে না। এমনকী লক্ষ্যমাত্রার থেকেও ঘাটতির হার কিছুটা ভাল, অর্থাৎ জাতীয় আয়ের ৩.৮ শতাংশ হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, ঘাটতি কমাতে পরিকল্পনা খাতে খরচে আদৌ কাটছাঁট করা হচ্ছে না। জেটলি ঘাটতির পরিমাণ ৫.৩৫ লক্ষ কোটি টাকায় বেঁধে রাখার লক্ষ্য নিয়েছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতেই ঘাটতি ৫.৭৩ লক্ষ কোটি টাকায় চলে যায়। তা সত্ত্বেও বছরের শেষে ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে চলে আসবে বলে অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আজও তাঁরা দাবি করেছেন, পাঁচ থেকে ছ’দিনের মধ্যে চূড়ান্ত পরিসংখ্যান হাতে এলে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই ঘাটতিকে বেঁধে রাখার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন