মাহিন্দ্রার নতুন গাড়ি।
বছর দুয়েক আগেও দেশের বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হয়েছে হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি। কিন্তু তারপর থেকেই বিক্রি পড়তির দিকে। তবুও চাকা ঘোরার আশায় নতুন গাড়ি এনে বাজারে চনমনে ভাব ফিরিয়ে আনায় উদ্যোগী মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। এখানে সংস্থার নতুন ছোট গাড়ি ‘জিতো’ বাজারে আনার কথা ঘোষণা করে মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর পবন গোয়েন্কা আশা প্রকাশ করেন যে, এর হাত ধরে বাড়বে তাঁদের হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি।
নতুন এই গাড়িটি তৈরির জন্য তেলঙ্গানার জাহিরাবাদ কারখানার সম্প্রসারণ করেছে মহীন্দ্রা। সব মিলিয়ে লগ্নি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আপাতত কারখানায় বার্ষিক ৯০ হাজার জিতো তৈরি করতে সক্ষম সংস্থা। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপালে গাড়িটি রফতানি করবে তারা। গোয়েন্কা জানান, বছরখানেক পরে, গাড়িটির যাত্রী বাহী সংস্করণও বাজারে আনবেন তাঁরা।
অর্থনীতির হাল খারাপ হলে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসার উপর। কিছু দিন আগে সেই কারণে সার্বিক ভাবে বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি তলানিতে ঠেকলেও পরে মাঝারি ও ভারী বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার উর্ধ্বমুখী হয়েছে। কিন্তু এখনও (এপ্রিল-মে) হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি গত বছরের ওই সময়ের চেয়ে ৫.৫ শতাংশ কম। গাড়ি শিল্পের একাংশের মতে, যতক্ষণ না তৃণমূল স্তরে মানুষের আয় বাড়ছে, ততক্ষণ হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি বাড়ে না। কারণ আমজনতার ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি বাড়ে। তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়িরও প্রয়োজন পড়ে।
অর্থনীতির হাল ফেরার আশাতেই মহীন্দ্রা ৬০০ এবং ৭০০ কেজি-র আট ধরনের জিতো গাড়িটি বাজারে আনল। পবন গোয়েন্কা ও সংস্থার অন্য কর্তাদের দাবি, মু্ল্যবৃদ্ধির হার এখন নিয়ন্ত্রণে। কমেছে সুদের হার। বর্ষাও এসে যাওয়ায় কৃষির উন্নতি হবে। ফলে তাঁদের আশা, তৃণমূল স্তরে অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। যার সুফল পাবে হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়িও। গোয়েন্কার কথায়, ‘‘সাধারণ ক্রেতার হাতে পণ্য পৌছে দিতে প্রয়োজন হবে এ ধরনের গাড়ি। আমরা সেই সময়ের জন্য প্রস্তুত হতে চাই।’’ তবে কত দিনে বিক্রি বৃদ্ধির হার উর্ধ্বমুখী হবে, তা নিয়ে কোনও আভাস দিতে চাননি তাঁরা।