Job

পরিসংখ্যানের স্বস্তি উধাও ছাঁটাইয়ের সংখ্যায়

সিএমআইই জানাচ্ছে, ২০১৯-২০ সালের শেষে বাঁধা বেতনের চাকরিজীবী ছিলেন ৮.৬ কোটি। অগস্টে তা নেমেছে ৬.৫ কোটিতে। ২.১ কোটি কম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশে বেকারত্বের হার ৩০ অগস্ট যেখানে ৮ শতাংশের উপরে ছিল, ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে তা নেমেছে ৬ শতাংশের নীচে। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র হিসেব, চলতি মাসে লাগাতার তা নিম্নমুখী। এমনকি এই ৫.৮৪ শতাংশের তুলনায় বেকারত্বের হার বেশি ছিল লকডাউনের আগেও! তবু নিশ্চিন্ত হতে দিচ্ছে না চাকরি ছাঁটাইয়ের রমরমা।

Advertisement

কাজের সুযোগ মূলত তৈরি হয়েছে গ্রামে। একশো দিনের কাজে বরাদ্দ বেড়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে চালু সরকারি প্রকল্পেও নাম লিখিয়েছেন অনেকে। কিন্তু শহরের ছবিটা আলাদা। সেখানে লকডাউন শিথিলের পরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ তা-ও কিছুটা ফিরেছে। কারণ, অ্যাপ-ট্যাক্সি চলা শুরু বা বহু বাড়িতে পরিচারিকার কাজে ফেরা। ঝাঁপ উঠেছে কিছু কল-কারখানারও। কিন্তু ওই পর্যন্তই। যথেষ্ট সংখ্যায় নতুন কাজ তৈরি দূর, বরং বাঁধা বেতনের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা বিপুল।

সিএমআইই জানাচ্ছে, ২০১৯-২০ সালের শেষে বাঁধা বেতনের চাকরিজীবী ছিলেন ৮.৬ কোটি। অগস্টে তা নেমেছে ৬.৫ কোটিতে। ২.১ কোটি কম। লকডাউনের এপ্রিল, মে-তে তো বহু জন কাজ হারিয়েছেনই, জুলাই, অগস্টেও সংখ্যা যথাক্রমে ৪৮ ও ৩৩ লক্ষ। সেপ্টেম্বরে সেই ছবি বদলের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই শহরে বেকারত্ব তেমন নামেনি।

Advertisement

অনেকের মতে, চাকরিজীবীদের কেনাকাটার উপরে পণ্য-পরিষেবার চাহিদা নির্ভরশীল। কারণ, এ দেশে বাঁধা বেতনের চাকরিতেই মূলত মাসে আয় তুলনায় বেশি। কিছুটা বেশি চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা। তাই অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের থেকে তাঁরাই বেশি কেনাকাটা করেন। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাড়ি-গাড়ি কেনেন। বেতন বাড়লে বাড়তি সঞ্চয় করেন। ফলে সেখানেই ছাঁটাই চললে কী ভাবে চাহিদা চাঙ্গা হয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, তাতে সংশয় যথেষ্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement