মেহুল চোক্সী।
ইতিমধ্যেই মেহুল চোক্সী, তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমস এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার নামে থাকা প্রায় ১,২১০ কোটি টাকার ৪১টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) প্রতারণা কাণ্ডের ভারপ্রাপ্ত কালো টাকা প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, সেগুলি আপাতত বাজেয়াপ্তই থাকবে। কারণ, সেগুলির মধ্যে রয়েছে নয়ছয় করা তহবিলও।
পিএনবি-তে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা প্রতারণায় অন্যতম অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী চোক্সী এখন ভারতের বাইরে। ফেব্রুয়ারিতে ইডি বাজেয়াপ্ত করে তাঁর ১৫টি ফ্ল্যাট, ১৫টি দফতর, শপিং মল, খামার বাড়ি ও বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ২৩১ একর জমি। মে মাসে চোক্সীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত জারি করে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও।
এই অবস্থায় পিএমএলএ-র আওতায় বিষয়টি বিচারের ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের সদস্য তুষার ভি শাহ বলেন, দেখা গিয়েছে, সম্পত্তিগুলি কিনতে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সর্বোচ্চ ৯০ দিন অথবা কোনও অপরাধে আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেগুলি বাজেয়াপ্ত থাকবে। তা চূড়ান্ত হবে বিশেষ আদালত বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়ার পরে।