সংস্থা ঢেলে সাজার লক্ষ্যে এক বছরে বিশ্ব জুড়ে ১৮,০০০ বা ১৪% কর্মী ছাঁটাই করবে মাইক্রোসফট। যার বেশির ভাগটাই (প্রায় ১২,৫০০) হবে সদ্য হাতে নেওয়া নোকিয়ার কর্মী কমানোর মাধ্যমে। সংস্থার ৩৯ বছরের ইতিহাসে এটাই বৃহত্তম ছাঁটাই। তবে ভারতে মাইক্রোসফটের মাত্র ৬,৫০০ কর্মী রয়েছেন। সেই কারণে এখানে এই কর্মী সঙ্কোচনের খুব বেশি প্রভাব পড়বে না বলেই বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় দাবি করেছে তারা।
বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার সংস্থা হলেও, ক্রমশ গুগ্ল, অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে মাইক্রোসফট। নিত্যনতুন পণ্য এনে যখন বাজার দখলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে অন্য দুই সংস্থা, সেখানেই ‘সময় বুঝতে না-পারা’র খেসারত দিতে হয়েছে বিল গেটসের মাইক্রোসফটকে। গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার পড়েছে তাদের শেয়ার দর। যেন গায়ে তকমা লেগে গিয়েছে ‘আগের প্রজন্মের’ সংস্থার। সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন সিইও স্টিভ বামার। ঘুরে দাঁড়াতে সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক নোকিয়ার মোবাইল ব্যবসা কিনেছে মাইক্রোসফট। সংস্থায় এসেছেন নোকিয়ার কর্মীরাও। সব মিলিয়ে কর্মী সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১,২৭,০০০-এর বেশি।
এই অবস্থায় পরিচালনায় গতি আনতেই সঙ্কোচনের এই ‘অপ্রিয়, কিন্তু জরুরি’ সিদ্ধান্ত বলে এ দিন কর্মীদের পাঠানো ই-মেলে জানান মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেল্লা। আগামী দিনে মূলত মোবাইল ও ক্লাউড কম্পিউটিং সফটওয়্যার সংস্থায় পরিণত হওয়ার লক্ষ্যেই মাইক্রোসফট কাজ করবে বলেও জানান তিনি। তবে সব ছাঁটাই হওয়া কর্মীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন নাদেল্লা। ক’মাসের মধ্যে কর্মীদের চিঠি দেওয়া শুরু করবে সংস্থা।
নোকিয়ার ভবিষ্যৎ বাণিজ্য পরিকল্পনার রূপরেখাও স্পষ্ট করেছে মাইক্রোসফট। মোবাইল ব্যবসাকে মজবুত করতে নোকিয়া এক্স সিরিজের কিছু ফোনকে লুমিয়া ফোনে পরিণত করা হতে পারে বলে জানান মাইক্রোসফট ডিভাইসেসের কর্তা স্টিফেন ইলোপ। নোকিয়ার জন্মস্থান ফিনল্যান্ডেই মোবাইল ব্যবসার প্রধান দুই কেন্দ্র তৈরি করবে মাইক্রোসফট। মিশিয়ে দেওয়া হবে স্মার্ট ডিভাইসেস এবং মোবাইল ব্যবসাও।