ভোটে বিপুল জয় এসেছে ঠিকই। কিন্তু তার জন্য পাল্টে যায়নি অর্থনীতির রংচটা ছবি। এ কথা মাথায় রেখে গোড়া থেকেই সেই রং ফেরানোর চেষ্টায় নামতে চাইছে দ্বিতীয় দফার মোদী সরকার। যার অঙ্গ হিসেবে বৈদ্যুতিন পণ্য, রাসায়নিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নি টানতে কোমর বেঁধে নামছে তারা। এই লক্ষ্যে ১০০ দিনের পরিকল্পনা তৈরি করেছে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। তাতে ওই শিল্পগুলির জন্য নির্দিষ্ট ভাবে বিশেষ সুবিধার প্যাকেজের পক্ষে সওয়াল করছে তারা। একই ভাবে রফতানিকে চাঙ্গা করতেও জোর দেওয়া হচ্ছে ১০০ দিনের পরিকল্পনা রূপায়ণে। সোমবার খসড়া রফতানি নীতিও প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রক।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বিস্তর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র প্রচারের পরেও প্রত্যাশিত পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। হাত খুলে টাকা ঢালেনি দেশি বেসরকারি সংস্থাগুলিও। অথচ লগ্নি না এলে, বৃদ্ধির হার থমকে যাবে। তৈরি হবে না কাজের সুযোগও। গত পাঁচ বছরে তা সে ভাবে না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রথম দফার মোদী সরকারকে। এ বার সম্ভবত সেই কারণেই গোড়া থেকে লগ্নি টানাকে পাখির চোখ করতে চাইছে তারা।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রথম ১০০ দিনের পরিকল্পনায় রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিদেশি লগ্নি টানার চেষ্টা। যাতে ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশে না গিয়ে সেই লগ্নি আসে ভারতে। ওই সমস্ত দেশে করছাড়-সহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে ভিড় করে বিদেশি লগ্নি। তা টেনে আনতে পারলে এ দেশে বিপুল কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। রফতানিকে চাঙ্গা করতেও ১০০ দিনের পরিকল্পনা তৈরি করেছে তারা। লক্ষ্য, রফতানিকারীদের দ্রুত কর ফেরতের বন্দোবস্তের মতো নানা পদক্ষেপ।
সংবাদ সংস্থা