প্রতীকী ছবি।
চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু তা সামাল দেওয়ার মতো পোক্ত ভিত রয়েছে অর্থনীতির। এই যুক্তিতেই মার্কিন মূল্যায়ন বহুজাতিক এসঅ্যান্ডপি-র সামনে রেটিং বাড়ানোর সওয়াল করল মোদী সরকার। যদিও ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম যে ভাবে পড়ছে আর তার জেরে যে ভাবে চওড়া হচ্ছে চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের ঘাটতি, তা ওই আর্জি কতটা কানে তোলা হবে, সে বিষয়ে সন্দিহান অনেকে।
বৃহস্পতিবারই ডলারে আরও পড়েছে টাকার দাম। ১৫ পয়সা বেড়ে মার্কিন মুদ্রা পৌঁছেছে ৭০.৭৪ টাকায়। যা বাজার বন্ধের সময়ে সর্বকালীন রেকর্ড। তার জেরে চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা। ডলার এ ভাবে হুড়মুড়িয়ে বাড়লে, রাজকোষ ঘাটতি সামাল দিতেও কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে কেন্দ্র। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও রেটিং বৃদ্ধির সওয়াল করেছেন আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ। দাবি করেছেন, জিডিপি-ঋণের অনুপাত দীর্ঘ মেয়াদি বিষয়। তা সামান্য বেশি থাকলে ভাল রেটিং আটকানোর কথা নয়। অন্য এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিরও ফের দাবি, শীঘ্রই পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হবে ভারত। সেখানে আবার প্রশ্ন মাথাপিছু আয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা নিয়ে।
গত বছর মুডি’জ রেটিং বাড়ানোর পরে আশা তৈরি হয়েছিল যে, একই পথে হাঁটবে এসঅ্যান্ডপি। কিন্তু তা হয়নি। এ বার ফের তাদের কাছে রেটিং বৃদ্ধির আর্জি জানাল কেন্দ্র।