নরেন্দ্র মোদী।
মসনদে আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে ২ কোটি নতুন চাকরির। কিন্তু তাঁর সরকারের হিসেবই বলছে, বছরে চাকরি তৈরির সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। এ বার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উদ্যোগেই ৩ লক্ষ চাকরি হয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার তাঁর দাবি, দেশে ৩ লক্ষ ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ খোলা হয়েছে। যেখানে ইন্টারনেটে নানা সরকারি পরিষেবা মেলে। এই সব কেন্দ্রগুলি যাঁরা চালান, তাঁদের রোজগারের পথ খুলেছে। কিন্তু ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানোর পথে তাঁর সরকার কতখানি সফল, এ দিন সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
নগদের ব্যবহার কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানোই ছিল নোটবন্দির অন্যতম লক্ষ্য। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, মানুষের হাতে নগদ এখন রেকর্ড অঙ্কে (১৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা) পৌঁছেছে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে তা ৭.৮ লক্ষ কোটিতে নেমেছিল। মোদী আজ তাই ফের জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের উপরে চাপ তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁরা ভীম অ্যাপে লেনদেন করেন।
কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের সুবিধা যাঁরা পেয়েছেন, ২০১৯ সালের ভোটের আগে তাঁদের কাছে পৌঁছতে চান মোদী। আজ সেই লক্ষ্যেই গ্রামে গ্রামে ডিজিটাল ইন্ডিয়া পরিষেবা কেন্দ্রগুলির প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন তিনি। দাবি করেন, চার বছরে মানুষের দরজায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করার।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধীদের অবশ্য দাবি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগে আসল ধাঁধারই উত্তর মেলেনি। তা হল, ডিজিটাল দুনিয়া কতটা নিরাপদ? এতে ব্যক্তির মৌলিক অধিকারই বা কতটা বজায় থাকছে? কারণ, কেন্দ্রের ঘর থেকেই আধার তথ্য চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। ডিজিটাল পরিষেবা পেতে পাসপোর্ট, আধার, জন্মের শংসাপত্র, ব্যাঙ্কের তথ্য এই দুনিয়ায় আসছে। তা সুরক্ষায় কী কাজ হচ্ছে, সে নিয়ে স্পষ্ট দিশা নেই বলেও দাবি তাঁদের।