নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র
গত অর্থবর্ষ ও জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার সামনে আসতেই প্রশ্ন আর আশঙ্কার তির নাগাড়ে বিঁধে চলেছে কেন্দ্রকে। করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের ধাক্কা লাগার আগেই যদি লগ্নি ও চাহিদার অভাবে অর্থনীতির এমন হাল হয়, তা হলে এর পরে কী হবে? সেই গভীর ক্ষত সারিয়ে ফের ছন্দে ফিরতে কোন পথে হাঁটবে কেন্দ্র? সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই নাকি শিল্প মহলকে সেই দিশা দেখাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বণিকসভা সিআইআইয়ের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্ষিক সভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় শিল্পপতি ও সংস্থাকর্তাদের সামনে পেশ করবেন অর্থনীতিকে ফের বৃদ্ধির কক্ষপথে ফেরাতে তাঁর নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ঝিমোতে থাকা অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব কী হতে পারে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন মোদী। তার উপরে কেন্দ্রের ত্রাণ প্যাকেজ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে দেশে। এই অবস্থায় বিক্রিবাটা বাড়িয়ে বৃদ্ধিকে ছন্দে ফেরানো নিয়ে তাঁর বার্তা কী হয়, তা শুনতে মুখিয়ে থাকবে সারা দেশ। বিশেষত এমন সময়, যখন ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হয়ে কাজে ফিরছে সংস্থাগুলি। কিন্তু বাজারে চাহিদা উধাও। আশঙ্কা বাড়িয়ে রবিবারই ডিবিএস ব্যাঙ্ক বলেছে, করোনা অর্থনীতিতে যে ভাঙন ধরিয়েছে, তা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা মেঘে ঢাকা। ফলে চলতি অর্থবর্ষে সঙ্কুচিত হবে অর্থনীতি।
আর ব্লগে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের দাবি, বিমানবন্দর-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোর চাহিদা যতটা কমেছে, তাতে এশিয়ার সব দেশের সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের কাঠামো তৈরিকে পাখির চোখ করা উচিত।
আরও পড়ুন: টিকে থাকতে দরজা খোলা জরুরি ছিল, বলছে শিল্প