গুটিয়ে ফেলা হতে পারে তন্তুশ্রী, চর্মজ

শেষ ধাপে রাজ্যে ছোট সংস্থার পুনর্গঠন

প্রস্তাব বহুদিনের। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সরকারি স্তরে এতদিন নানা গড়িমসি ছিল। ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের পুনর্গঠনের প্রশ্নে এ বার শেষ ধাপে পৌঁছেছে সরকার।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৪
Share:

প্রস্তাব বহুদিনের। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সরকারি স্তরে এতদিন নানা গড়িমসি ছিল। ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের পুনর্গঠনের প্রশ্নে এ বার শেষ ধাপে পৌঁছেছে সরকার।

Advertisement

নবান্নের খবর, গুটিয়ে ফেলা হবে তন্তুশ্রী ও চর্মজ। চলবে মঞ্জুষা ও তন্তুজ। যেমন চলছে তেমনই থাকবে বিশ্ব বাংলা মার্কেটিং কর্পোরেশন। এক বার শেষ চেষ্টা করে বন্ধ করে দেওয়া হবে শিল্প বার্তাও। বঙ্গশ্রীকে মিশিয়ে ফেলা হবে পশ্চিমবঙ্গ রেশম শিল্পী সমবায় মহাসঙ্ঘের সঙ্গে। পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থা বা সমবায়ের কর্মীদেরও প্রয়োজন মতো এদিক-ওদিক বদলি করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। গত ২৬ ডিসেম্বর খাদি ভবনে দফতরের পুনর্গঠন নিয়ে যে বৈঠক হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

রাজ্যের অধীনস্থ সংস্থার সংখ্যা ছিল ৮৭টি। ব্যয় সঙ্কোচের নীতি গ্রহণ করে সরকার সেই সব সংস্থার মধ্যে যেগুলি অলাভজনক সেগুলি হয় গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা শুরু হয় ২০০৩ সালে বামফ্রন্ট জমানাতেই।

Advertisement

সরকারি সূত্রের দাবি, ব্রিটিশ সংস্থা ডিএফআইডির আর্থিক সাহায্যে অলাভজনক সরকারি সংস্থা গুটিয়ে ফেলতে বা একাধিক সংস্থাকে মিশিয়ে লাভজনক করার প্রক্রিয় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও শিল্প মন্ত্রী নিরুপম সেন শুরু করেছিলেন। প্রথম দফায় ৩৪টি লোকসানে চলা উৎপাদক সংস্থা বেছে নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২১টি সংস্থাকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যেই ছিল তন্তুশ্রী, চর্মজর মতো সংস্থা। সে সময় ৫টি সংস্থায় স্বেচ্ছাবসর দিয়ে, খরচ কমিয়ে লাভজনক করা হয়। ৪টি সংস্থা যৌথ উদ্যোগে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তার মধ্যে রয়েছে গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল, এঞ্জেল ইন্ডিয়া মেশিন টুল, ভারত জুট মিলের মতো সংস্থা। কিন্তু লিলি বিস্কুট, নিসকোর মতো চারটি সংস্থা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। প্রথম দফায় যে ২১টি অলাভজনক সংস্থা বন্ধ করা হয়েছিল তার মধ্যে ওয়েবেলের বেশ কয়েকটি সাবসিডিয়ারিও ছিল। কিন্তু সংস্থা বন্ধ হলেও তন্তুশ্রী, চর্মজ-র মতো সংস্থা আইনি জটিলতায় খাতায় কলমে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি সরকারি খাতা থেকে এই সব অলাভজনক সংস্থার নাম মুছে দিতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন