সিঙ্গাপুরে মোদী। ছবি: পিটিআই।
সেই নোটবন্দির সময় থেকেই নাগাড়ে ডিজিটাল ভারত গড়ার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সিঙ্গাপুরে ফিনটেক (আর্থিক প্রযুক্তি) উৎসবের মঞ্চ থেকে বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ভারতে লগ্নির ডাক দিলেন সেই মন্ত্র আওড়েই।
বিশ্বের দরবারে দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিজ্ঞাপন তুলে ধরার এমন সুযোগ এ দিন বিন্দুমাত্র নষ্ট করতে চাননি মোদী। উৎসবে অগ্রণী প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ছিল। ছিলেন সরকারের প্রধানরা। ১০০টি দেশের ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীও। সকলের সামনে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, লগ্নির সেরা গন্তব্য ভারতই। যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেন ডিজিটাল সংযোগের ক্ষেত্রে নেটের গতি ও মানে উন্নতির কথা। টেনে আনেন আধার তৈরির প্রসঙ্গ। জানান, কী ভাবে সকলের দরজায় পৌঁছেছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
বিশ্বে আর্থিক প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় আসরে মোদীর দাবি, প্রযুক্তির জোরেই এ দেশে সরকারি পরিষেবা পৌঁছেছে দুর্বল ও পিছিয়ে পড়াদের কাছে। যা আর্থিক সুবিধার সুযোগ নেওয়ার রাস্তা খুলেছে গণতান্ত্রিক উপায়। বদলেছে জীবনযাত্রার মান।
আরও পড়ুন: অম্বানী-এরিকের কথা মিলছে না, দেখাল কংগ্রেস
বার্তা বিদেশেও • প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সংযোগের জোরে বিপ্লব এসেছে দেশে। জনধনে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। • ১৩০ কোটি ভারতীয় সামিল হয়েছেন উন্নয়নে। ১২০ কোটিরও বেশির আধার তৈরি। • প্রযুক্তি বদলেছে সরকারি পরিষেবাগুলির পরিচালনা। • গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আর্থিক সুবিধা পৌঁছচ্ছে সকলের কাছে। • সমাজের মূল স্রোতে যুক্ত হচ্ছেন পিছিয়ে পড়া মানুষেরা। বদলাচ্ছে জীবনযাত্রার মান।
মোদীর মতে, ‘‘প্রযুক্তিই এ যুগে প্রতিযোগিতা ও ক্ষমতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করছে। তৈরি করছে জীবন বদলে দেওয়ার অসীম সুযোগ।’’ আর সেটাই ভারতে হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। এ জন্য তিনি তুলে ধরেছেন একগোছা হিসেব। তিন বছরে ৩৩ কোটির নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ১৩০ কোটিকে উন্নয়নে সামিল, ১২০ কোটিরও বেশির আধার তৈরি, কোটির বেশি সেল ফোন বিক্রি, সরকারি খরচ তৈরি বৃহত্তম পরিকাঠামো ইত্যাদি। মোদীর দাবি, ভারত শুধু এখন আর্থিক উন্নয়ন দেখছে না, পথ খুলছে উদ্ভাবনেরও।
আরও পড়ুন: রাফাল-প্রশ্ন শুনে খেই হারাল কেন্দ্র