রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
রঘুরাম রাজন খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ঋণ খেলাপিদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন কি না এবং পাঠিয়ে থাকলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে আর্জি জমা পড়েছিল তথ্যের অধিকার আইনে। কিন্তু তার উত্তর এড়িয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বরং উল্টে প্রশ্নের গায়ে অন্তঃসারশূন্য ও উদ্দেশ্যহীনের তকমা সেঁটে দিল তারা।
রাজনের অভিযোগ ছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর থাকাকালীন বড় মাপের ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলার তালিকা তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছিলেন। অন্তত দু’-একজন প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়েছে কি না, তা তাঁর জানা নেই।
এমনিতেই নীরব মোদী-মেহুল চোক্সিদের নিয়ে প্রশ্নের মুখে মোদী সরকার। তার মধ্যেই সংসদের এস্টিমেটস কমিটিকে পাঠানো রাজনের ১৭ পৃষ্ঠার নোটের পরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছিল, কেন প্রতারকদের তালিকা পাওয়ার পরেও মোদী সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি?
রাজন স্পষ্ট করে জানাননি, কবে তিনি ওই তালিকা মনমোহন সিংহ ও নরেন্দ্র মোদী, দুই প্রধানমন্ত্রীর আমলেই তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে ছিলেন। কিন্তু তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আমি গভর্নর থাকাকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রতারণা নজরদারি শাখা তৈরি করে। যাতে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দ্রুত প্রতারণার ঘটনা জানানো যায়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও ‘হাই প্রোফাইল’ প্রতারণার মামলার তালিকা পাঠানো হয়।’’
তথ্য বলছে, ২০১৬-র জানুয়ারিতে ওই প্রতারণা নজরদারি শাখা তৈরি হয়েছিল। যার অর্থ, তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তালিকা পাঠানো হয়েছিল। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও বলেছিলেন, ‘‘২০১৬-তে নরেন্দ্র মোদীর দফতরে পাঠানো ওই তালিকাতেই নীরব মোদী-মেহুল চোক্সিদের নাম ছিল।’’ কিন্তু তথ্যের অধিকার আইনে তা নিয়ে প্রশ্নে মুখে কুলুপ কেন্দ্রের।