প্রতীকী ছবি।
জিএসটি-র বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের জন্য তৈরি হচ্ছে মোদী সরকার। আয়োজনে খামতি নেই। ভাবনায় রয়েছে কর কমানোর সুরাহাও। যদিও তাতে প্রশ্নের কাঁটা একেবারে উপ়ড়ে ফেলা যাচ্ছে না।
গত ১ জুলাই জিএসটি চালু হয়েছিল। ৩০ জুন মাঝরাতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে ঘন্টা বাজিয়ে সূচনা হয়েছিল নতুন কর জমানার। তখনই প্রশ্ন ওঠে, নতুন কর চালু করতে এত আয়োজন কেন? কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত, ১ জুলাইকে জিএসটি দিবস হিসেবে পালন করা হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বিজ্ঞান ভবনের বদলে নতুন তৈরি অম্বেডকর ভবনে। শুধু দিল্লি নয়, এই দিবস পালিত হবে আঞ্চলিক স্তরেও।
বর্ষপূর্তিতে বেশ কিছু পণ্যে জিএসটি-র বোঝা কমিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে আছে, সিমেন্ট, রং, সিনেমার টিকিট ইত্যাদি। কর কমানোর প্রস্তাব ২১ জুলাইে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে পেশ হবে।
অর্থসচিব হাসমুখ আঢিয়া বলেন, জিএসটির গতিপথ এখন অনেকটাই মসৃণ। কর আদায় ভাল। এ বার কর রিটার্ন ফর্মের সরলিকরণের চেষ্টা হবে। ১.১১ কোটি ব্যবসায়ী, শিল্প সংস্থা এতে নথিভুক্ত। তাঁর আশা, মাসিক রিটার্ন ফাইল ও কর জমার হার ৯৬ শতাংশে পৌঁছবে। কেন্দ্রীয় স্তরে একটি আপিল কর্তৃপক্ষ তৈরির ভাবনা চলছে। প্রতি রাজ্যে আগাম করের পরিমাণ জানাতে অ্যাডভান্স রুলিং অথরিটি হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যের অথরিটির মতভেদ মেটাতে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
আয়োজন
• ১ জুলাইকে জিএসটি দিবস হিসেবে পালনের তোড়জোর। অনুষ্ঠান দিল্লির অম্বেডকর ভবনে।
• ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীষূষ গয়াল, ছাড়াও আমন্ত্রিত রাজ্যের প্রতিনিধি, শিল্পমহল, কর অফিসাররা। ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন অরুণ জেটলি।
সুরাহা
• এই উপলক্ষে বেশ কিছু পণ্যে কর কমিয়ে আমজনতাকে সুরাহা দেওয়ার ভাবনা।
• সিমেন্ট ও রংয়ে জিএসটি ২৮% থেকে কমে হতে পারে ১৮%।
• একই হারে কর কমানোর পরিকল্পনা সিনেমার টিকিট ও ডিজিটাল ক্যামেরায়।
কিন্তু প্রশ্ন
• এক দেশ-এক করে সত্যিই পৌঁছনো গেল কি?
• দ্রুত প্রয়োজন নয় কি কর ব্যবস্থার সরলিকরণ?
• আগে মেটানো করের টাকা (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) ফেরত পেতে এখনও নাজহাল অনেক ব্যবসায়ী ও রফতানিকারী।