পোক্ত ভিতের বার্তা মোদীর, চাইলেন আলোচনাও

কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মোদীই জিএসটি-র বিরোধিতা করেছেন। ইউপিএ জমানায় বিজেপি-ই এই কর আনতে দেয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৭
Share:

নরেন্দ্র মোদী।

দাবি করলেন, অর্থনীতির ভিত মজবুত। তবে সেই সঙ্গে বললেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মতো ‘মহানুভব’-এর মতামত পেলে ভালই হয়। আজ লোকসভা ও রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কে অর্থনীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তা পেল গোটা দেশ। যেখানে বিরোধীদের দিকেও আঙুল তুলে মোদী বলেছেন, নিরাশা ছড়িয়ে কোনও লাভ হবে না।

Advertisement

এ দিন অর্থনীতি নিয়ে বাজেট অধিবেশনে খোলাখুলি আলোচনা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন মোদী। যুক্তি দিয়েছেন, ‘‘আমি বলছি, সব দিক নিয়ে আলোচনা হোক। আমরা দেখি কী ভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে লাভ হতে পারে। তর্কাতর্কি হোক। এই মন্থনে অমৃতই বের হবে।’’ রাজ্যসভায় তখন মনমোহন ছিলেন। তাঁকে দেখিয়ে মোদী বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মতো মহানুভব যখন আছেন, জানি তখন লাভই হবে।’’

অর্থনীতির সাফল্য তুলে ধরতে কর ব্যবস্থার সরলীকরণে জিএসটি চালুর কথা টেনেছেন মোদী। জিএসটি-তে বারবার রদবদল নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি না, আমরাই সব বুদ্ধি নিয়ে বসে আছি। অনেক কর মিলিয়ে একটা হয়েছে। রাজ্যের পরামর্শ শুনতে তৈরি আমরা। আপনাদের কাছে স্পষ্ট ধারণা থাকলে আপনারাই জিএসটি চালু করেননি কেন?’’

Advertisement

কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মোদীই জিএসটি-র বিরোধিতা করেছেন। ইউপিএ জমানায় বিজেপি-ই এই কর আনতে দেয়নি। মোদীর জবাব, ‘‘এই ভুল ধারণা ছড়াবেন না।’’ এ বিষয়ে সাক্ষী মানতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও টেনে আনেন মোদী। বলেন, ‘‘প্রণবদা অর্থমন্ত্রী হিসেবে গুজরাতে এসেছিলেন। আমি বলেছিলাম, জিএসটি তো প্রযুক্তি নির্ভর। সেই প্রযুক্তি কোথায়? উনি সচিবকে ডেকে বলেন, মোদী কী বলছেন শুনুন। সচিব তখন জানান, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমি বলেছিলাম, উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির সমস্যা দেখতে হবে। সেটা অর্থমন্ত্রী হিসেবে অরুণ জেটলি দেখেছিলেন। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যে সমস্যার কথা বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সমাধান করেছি।’’ কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে মোদীর বক্তব্য, ‘‘নিরাশা ছড়িয়ে লাভ হবে না। বড় করে ভাবতে হবে। আমরা ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির কথা বলেছিলাম বলেই এখন তা নিয়ে বিতর্কেও ৫ লক্ষ কোটি ডলারের প্রসঙ্গ আসছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন