বকেয়া মেটাতে নির্দেশ নবান্নের

প্রবল আর্থিক টানাটানিতে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তাই বিদ্যুতের বিল বকেয়া রেখেছে, এমন প্রতিটি সরকারি দফতরকে দ্রুত টাকা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০২:২৬
Share:

প্রবল আর্থিক টানাটানিতে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তাই বিদ্যুতের বিল বকেয়া রেখেছে, এমন প্রতিটি সরকারি দফতরকে দ্রুত টাকা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, ওই টাকা মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে বণ্টন সংস্থার কোষাগারে ঢুকলে, চলতি অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায় অনেকটাই বাড়বে। কারণ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ পাওনা প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা।

Advertisement

সম্প্রতি কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিদ্যুৎ শিল্পের স্বার্থেই দ্রুত টাকা মেটানোর আবেদন জানান তিনি। রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য, চিন্তা বাড়াচ্ছে বিভিন্ন জেলায় গ্রাহকদের কোটি-কোটি টাকার বিল বকেয়া পড়ে থাকা। সেই সঙ্গে হুকিং করে দেদার বিদ্যুৎ চুরি তো আছেই। সব মিলিয়ে বণ্টন সংস্থার লোকসানের বোঝা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। যে কারণে বিদ্যুৎ কর্মীদের দাবি মেনে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা আপাতত না মিটিয়ে বণ্টন সংস্থাকে লোকসান কমানোতেই জোর দিতে বলেছে নবান্ন। যা নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি দফতরগুলির বকেয়া ঘরে এলে নগদের টানাটানি কিছুটা কমবে বলে ধারণা কর্তাদের।

বিল যাতে বকেয়া না পড়ে সে জন্য গত বছর থেকে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন সরকারি অফিসে প্রি-পেড মিটার লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাঁচ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ লাগে এমন অফিসে ওই ধরনের মিটার লাগানো শুরুও হয়েছে। মোবাইলের মতোই মিটার রিচার্জ করে বিদ্যুৎ খরচ করতে হবে, টাকা ফুরোলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কিন্তু স্বাস্থ্য, পুলিশ, সেচ, পুর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি ইত্যাদি বড় সরকারি দফতরগুলির প্রতি মাসে কোটি-কোটি টাকা বিল হয়। আবার বকেয়াও থেকে যায়। যা নিয়ে সমস্যায় পড়ে বণ্টন সংস্থা। সূত্রের খবর, এ বারেও প্রশাসনিক পর্যায়ে এবং অর্থ দফতরের কাছে বারবার তদ্বির করার পরে বিল মেটানোর বিষয়টি নিয়ে সমাধানের রাস্তা মিলেছে। যার অঙ্গ নবান্নের এই নির্দেশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন