এখন ওলা, উবের-এর দৌলতে যে-কোনও সময়ে যে-কোনও জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পান কলকাতাবাসী। এ বার একই সুবিধে মিলবে অটো–রিক্শতেও। চণ্ডীগড়ের অ্যাপ-নির্মাতা সংস্থা জুগনু বছর শেষেই এ শহরে অটো-রিক্শ পরিষেবা চালু করবে বলে সংস্থা সূত্রের খবর। আগামী দু’মাসের মধ্যে কলকাতা-সহ ১০০টি শহরে এই পরিষেবা দেবে জুগনু।
ওলা ও উবেরের হাত ধরে হলুদ-কালো ট্যাক্সির রাজত্বে সাদা গাড়ির দাপট বাড়ছে। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা, আমদাবাদ-সহ দেশের সব বড় শহরেই দ্রুত ব্যবসা বাড়াচ্ছে তারা। এ বার একই ধরনের অ্যাপে ভর করে বদল আসছে অটো-রিক্শ চলাচলেও।
এমনিতে চার-চাকার গাড়ির পাশাপাশি তিন-চাকার অটো-রিক্শ ভাড়া করতেও ওলা, উবেরের অ্যাপ রয়েছে। তবে সেই পরিষেবা কম শহরেই দেওয়া হয়। তা ছাড়া, এখনও ট্যাক্সির তুলনায় অটো-রিক্শ অ্যাপ কম জনপ্রিয়।
বর্তমানে জুগনু পরিষেবা দেয় ২২টি শহরে। তাদের দাবি, আগামী দু’মাসে এই সংখ্যা ১০০ ছোঁবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এই ১০০টির মধ্যেই জায়গা করে নিচ্ছে কলকাতা। সংস্থার অন্যতম কর্তা সমর সিংলা জানান, প্রতি তিন দিনে তাঁর সংস্থা একটি করে শহরে পরিষেবা বাড়াচ্ছে। আর এই রকেট গতির সম্প্রসারণের জন্য অর্থ জোগাচ্ছে পেটিএম-এর মতো সংস্থা। জুগনু-তে সম্প্রতি নতুন করে টাকা ঢেলেছে পেটিএম। পেটিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কিরণ ভাসিরেড্ডি জানান, লগ্নির অঙ্ক এক কোটি ডলার। এর আগেও পেটিএম জুগনু অ্যাপে বিনিয়োগ করেছে। সব মিলিয়ে জুগনুর ২০% শেয়ার এখন পেটিএম-এর হাতে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ট্যাক্সি ভাড়া করার অ্যাপ বুক মাই ক্যাব-ও কিনেছে জুগনু।
শিল্পমহলের দাবি, অটো-রিক্শ পরিষেবায় ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। খোলসা না-করলেও এই বাজারে অংশীদারি বাড়াতে চায় ওলা, উবেরও। চাহিদা মতো দোরগোড়ায় অটো-রিক্শ পেতে উবেরের অ্যাপ দিল্লিতে আছে। ওলার অটো-রিক্শ অ্যাপের পরিষেবা পায় দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, আমদাবাদ, পুণে, হায়দরাবাদ। সংস্থার দাবি, ৬৫,০০০ অটো চালাচ্ছে তারা। দিল্লিতে চলছে উবেরের ১,০০০ অটো।
প্রতিযোগিতা লগ্নি আনার ক্ষেত্রেও। ভারতীয় সংস্থা ওলা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ টেনেছে। মার্কিন সংস্থা উবের আগেই জানিয়েছে ভারতে তারা ২০০ কোটি ডলার পুঁজি ঢালবে। আরও পুঁজি পেতে জুগনুও জাপানের সফ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলছে। সফ্ট ব্যাঙ্ক ভারতে ১০০০ কোটি ডলার লগ্নির কথা ঘোষণা করেছে। স্ন্যাপডিল, ওলা ও হাউসিং ডট কমে পুঁজি ঢালছে তারা।