সড়ক, রেল বা বিমানে নির্দিষ্ট মূল্যের পণ্য পরিবহণের সময়ে ই-ওয়ে বিল সঙ্গে রাখতে হয় পরিবহণকারীকে। ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য, পুরনো পদ্ধতিতে বিল নকল করে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ ছিল। জিএসটি পরিষদ সম্প্রতি যে নতুন পদ্ধতি চালু করেছে তাতে জাল করা বেশ কঠিন। কেউ সেই চেষ্টা করলে তা জিএসটি পরিকাঠামোর মাধ্যমে তা বোঝা সম্ভব। মূল বিলটি যিনি তৈরি করেছেন, বার্তা পৌঁছবে তাঁর মোবাইলে।
অনেকের বক্তব্য, এমনিতেই জিএসটি সংগ্রহের ধারাবাহিকতা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন সরকার। নতুন ব্যবস্থায় কর ফাঁকি কতটা আটকানো গেল তা অবশ্য সময়ই বলবে।
ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা, আগে বিক্রেতা, ক্রেতা ও পরিবহণ সংস্থা— তিন জনের যে কেউ বিল তৈরি করতে পারত। বিলে করের অঙ্ক-সহ নানা তথ্যের উল্লেখ থাকত। ফলে একই ইনভয়েস নম্বরে একই পণ্যের উপরে তিনটি ই-ওয়ে বিল তৈরি করা যেত। ধরা যাক, একটি বিশেষ পণ্য সরবরাহের সময়ে বিক্রেতা ই-ওয়ে বিল তৈরি করে পরিবহণকারীকে দিলেন। সে ক্ষেত্রে পরিবহণকারীর সেই বিলের তথ্য বসিয়ে একটি ভুয়ো বিল তৈরির সুযোগ থাকত। তার সাহায্যে পণ্য পরিবহণ করে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা চলত। ক্যালকাটা চেম্বার অব ট্রেডের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফা খাসানওয়ালার কথায়, ‘‘পুরনো পদ্ধতিতে অনায়াসেই জিএসটি ফাঁকি দিতে পারতেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী।’’
ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য, ব্যবস্থা সংশোধনের পরে ভুয়ো বিল তৈরি করা কঠিন হয়েছে। নতুন নিয়মে বিল তৈরি করা যায় একটি স্তরেই। এক বার ইনভয়েস নম্বর দিয়ে ই-ওয়ে বিল তৈরি হলে দ্বিতীয় বার ওই একই ইনভয়েস নম্বরের উপরে বিল তৈরি করা যায় না। কেউ সেই চেষ্টা করলে জিএসটি পরিকাঠামো তা গ্রহণ করবে না।