লোকসভা ভোট শেষে যে দলই কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসুক না কেন, বৃদ্ধিকে টেনে তুলতে তাদের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর উপরেই ভরসা করতে হতে পারে বলে মত অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁদের এক জনের দাবি, কেন্দ্র ত্রাণ প্রকল্পের কথা ভাবছে না। এখন তা দেওয়া সম্ভবও নয়। কারণ, যে ত্রাণ দেওয়া হোক না কেন, তাতে ঋণ বাড়বে। ফলে সুদ কমিয়ে চাহিদা বাড়ানো ও তার হাত ধরে বৃদ্ধির চাকায় গতি আনার পথেই হাঁটতে হবে নতুন সরকারকে। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের মন্তব্য চাওয়া হলেও, তারা মুখ খোলেনি।
ওই কর্তাদের মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টানা দু’বারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছে। কেন্দ্রের আশা, অগস্টের মধ্যে আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তবে সে ক্ষেত্রে সুদ কমার সুবিধা যাতে মানুষের কাছে পৌঁছোয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে পাঁচ ত্রৈমাসিকে সর্বনিম্ন (৬.৬%)। নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর ধাক্কায় বৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে বলে আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। ভোটের মধ্যে সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে মার্চে শিল্পোৎপাদন কমেছে সরাসরি। এপ্রিলে বেড়েছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। গত মাসে রফতানি বৃদ্ধি ৪ মাসে সর্বনিম্ন। আমদানি বাড়ায় ৫ মাসে সর্বাধিক বাণিজ্য ঘাটতিও।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ইতিমধ্যেই গাড়ি-সহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যে চাহিদা কমার লক্ষণ স্পষ্ট। বৃদ্ধি আরও শ্লথ হতে পারে বলে ইঙ্গিত। ফলে যারাই কেন্দ্রে আসুক না-কেন, তাদের প্রথম কাজই হবে বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা। কেন্দ্রে তাঁরাই ক্ষমতায় ফিরবেন কিনা জানা নেই। তবে বিজেপির আর্থিক বিষষয়ক মুখপাত্র গোপাল কৃষ্ণ আগরওয়ালের মতে, সুদ কমানো, খরচ বাড়ানো এবং সম্পদ গড়ার হাত ধরেই চাহিদা তৈরির পথে হাঁটতে হবে নতুন সরকারকে।