WBBSE 10th Topper 2024

‘বাঁধাধরা সময় ছিল না, যখন ভাল লাগত পড়তাম’, ভবিষ্যতে কী হতে চায় মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড়?

৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৬৯৩। সারা দিনে আলাদা ভাবে পড়াশোনার সময় রাখত না। আবৃত্তি, গল্পের বই পড়া, তাৎক্ষণিক বক্তৃতার সঙ্গেই চলত পড়াশোনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৪ ০৯:৫১
Share:

মা-বাবার সঙ্গে মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড় সেন। নিজস্ব ছবি।

মাধ্যমিকে প্রথম স্থানে রয়েছে কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। ৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৬৯৩। সারা দিনে আলাদা ভাবে পড়াশোনার সময় রাখত না সে। আবৃত্তি, গল্পের বই পড়া, তাৎক্ষণিক বক্তৃতার সঙ্গেই চলত পড়াশোনা। কত ক্ষণ পড়াশোনা করত সে? চন্দ্রচূড়ের দাবি, ‘‘বাঁধাধরা সময় ছিল না পড়াশোনার। যখন ভাল লাগত তখন পড়তাম।’’ ভবিষ্যতে নিট ইউজি-তে উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে চন্দ্রচূড়। তার কথায়, ‘‘আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। আমার মা-বাবাও চান আমি চিকিৎসক হই। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোব।’’

Advertisement

চন্দ্রচূড়ের বাবা সুশান্ত সেন বলেন, ‘‘ছোট থেকেই এই দিনের আশায় ছিলাম। কখনও দ্বিতীয় হয়নি, সব ক্লাসেই প্রথম হয়ে এসেছে চন্দ্রচূড়। এক থেকে দশের মধ্যে নাম থাকবে আশা ছিল। তবে, প্রথম হবে সেটা কখনও ভাবিনি। ছেলের এই ফলে গর্বিত বাবা।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ডাক্তারি নিয়ে পড়বে, তেমনই আমাদেরও ইচ্ছে।’’

নিজস্ব চিত্র।

চন্দ্রচূড়ের মা বলেন, ‘‘ওকে পড়ার কথা কখনও বলতে হত না। ওর মাস্টারমশাইরা সাহায্য করেছে। কোনও বাঁধাধরা নিয়ম করে ওকে পড়তে দেখিনি।’’ কী ভাবে ছেলেকে সাহায্য করতেন? উত্তরে বললেন, ‘‘ছেলে কখনও বলত ইতিহাসের ছোট ছোট প্রশ্ন মুখে মুখে ধরতে, সেটাই করতাম। ছেলের মেডিক্যাল নিয়েই পড়ার ইচ্ছে।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। এই বছর প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৮,৭৬,৬৭৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ৩,৯৬,৪৭৬। পরীক্ষায় বসেছে ৩,৯৪,৭০৫। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩,৫২,১৩৯। পাশের হার ৮৯.২১ শতাংশ। ছাত্রীদের নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ৪,৮০,২০২। পরীক্ষা দিয়েছে ৪,৭৭,১৩৪। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪,০০,৩৫২ জন। পাশের হার ৮৩.৯০ শতাংশ। মাধ্যমিকে মোট পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। যার মধ্যে মেয়েদের পাশের হার ৮৩.৯০ শতাংশ। ছেলেদের পাশের হার ৮৯.২১ শতাংশ।

এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ কিংবা নকল করার অপরাধে বাতিল হয়েছিল ৪৮ জনের পরীক্ষা। এ বছরের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল ৯টা ৪৫ থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন