প্রতীকী ছবি।
এটিএম এবং টাকার গাড়িতে হামলা নতুন কোনও ঘটনা নয়। সেই সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে এটিএমে জালিয়াতি করে টাকা লোপাটের একাধিক পদ্ধতি। এই পরিস্থিতিতে এটিএম এবং টাকার গাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দেশিকা জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে রাত ৯টার মধ্যে এটিএমে টাকা ভরানোর কাজ শেষ করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে তা করতে হবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। পরের বছর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় বিকেল ৪টের পর টাকা ভরা যাবে না। সেখানে সকাল ৯টার আগে ও বিকেল ৪টের পরে টাকার গাড়ি চলাচলেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এটিএমের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে নগদ সংগ্রহ করতে হবে দিনের প্রথমার্ধে।
এটিএমে টাকা ভরানোর কাজ করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। তাদের হাতে প্রায় ৮,০০০ গাড়ি রয়েছে। সেগুলি ব্যবহার করে রোজ প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা ভরা হয় সমস্ত এটিএমে। ওই নগদের নিরাপত্তার জন্যও এক গুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। গাড়ির সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও আধিকারিকদের যোগ্যতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আঁটোসাঁটো এই নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা মেনে নিয়েও কিছু প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। প্রথমত, রাতবিরেতে টাকার প্রয়োজন হলে এটিএমে টাকা মিলবে কি? সরবরাহের অভাবে নগদের সমস্যা তৈরি হবে না তো? কারণ, নোটবন্দির সময়ে এটিএম থেকে টাকা তোলার ব্যাপারে একাধিক বিধিনিষেধ জারি থাকায় সাধারণ মানুষকে রীতি মতো সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, এটিএমের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র হলেও এটিএমে জালিয়াতি বন্ধ এবং টাকা তোলার পরে গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে তো? সমস্ত এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া না গেলে তা সম্ভব নয় বলে তাঁদের মত।