চন্দা কোছর।
কথা হল আর্থিক ফলাফল নিয়ে। কিন্তু আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে সোমবার আলোচনাই হয়নি ভিডিয়োকনকে অনৈতিক ভাবে ঋণ পাইয়ে দেওয়া নিয়ে কর্ণধার চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে ওঠা স্বজনপোষণের অভিযোগের বিষয়টি। এ দিন বৈঠকের পরে চন্দা নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। অথচ এই কাণ্ড নিয়ে এখন সরগরম সারা দেশ। প্রাথমিক তদন্তে নেমেছে সিবিআই। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতর ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।
চন্দার দাবি, ‘‘এই ঘটনায় পর্ষদ ইতিমধ্যেই নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।...এর থেকে বেশি আর কিছু বলার নেই।’’ অভিযোগ প্রসঙ্গে মার্চে ব্যাঙ্ক প্রকাশিত বিবৃতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। যেখানে চন্দার পাশে দাঁড়িয়ে পর্ষদ বলেছিল, ২০১২ সালে সংস্থাকে ৩,২৫০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কমিটি, চন্দা একা নন। ফলে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন ওঠে না।
এ দিন চন্দা বলেন, ‘‘আমরা গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ফল নিয়েই কথা বলছি এবং সেটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ওই তিন মাসে অনুৎপাদক সম্পদ খাতে সংস্থান বাড়ানোয় তাদের সার্বিক নিট মুনাফা ৪৫% কমে হয়েছে ১,১৪২ কোটি। মোট অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে পৌঁছেছে ঋণের ৮.৮৪ শতাংশে।