ভাঁড়ারে চোখ নেই, নজর আইন বদলে!

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় সরকারি হস্তক্ষেপের চেষ্টার যে অভিযোগ বারবার উঠছে, তাতেও জল ঢালার চেষ্টা করেছেন জেটলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় সরকারি হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগে জল ঢালার চেষ্টা জেটলির।

আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ আগেই বলেছিলেন। এ বার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিরও দাবি, রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিংবা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে বাড়তি অর্থের প্রয়োজন তাঁদের নেই। তবে তিনি স্পষ্ট জানালেন যে, শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে কত সম্পদ থাকা উচিত, তা নিয়ে আলোচনা অবশ্যই জরুরি।

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় সরকারি হস্তক্ষেপের চেষ্টার যে অভিযোগ বারবার উঠছে, তাতেও জল ঢালার চেষ্টা করেছেন জেটলি। তবে অর্থনীতিতে নগদ কিংবা ঋণের জোগানে টান থাকলে, তাতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের চোখ টানার চেষ্টা যে জারি থাকবে, তা গোপন করেননি তিনি।

বিদেশি মুদ্রা, বন্ড, সোনা ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ৯.৫ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বৈঠকের আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল, তার মধ্যে নাকি ৩.৬ লক্ষ কোটি দাবি করছে কেন্দ্র। তাদের যুক্তি, ডিভিডেন্ড হিসেবে মুনাফার ভাগ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তো দেয়ই। তার সঙ্গে তাদের ভাঁড়ারে থাকা বিপুল ‘টাকাকড়ির’ একটি অংশও আসা উচিত কেন্দ্রের কোষাগারে। কারণ, তার মোট অঙ্ক শীর্ষ ব্যাঙ্কের মোট সম্পদের প্রায় ২৬%-২৭%। অথচ বাকি দুনিয়া মানে যে, তা ১৬%-১৭% থাকা যথেষ্ট। তাই এই সম্পদের কতটা কার কাছে থাকবে, সেই সংক্রান্ত নিয়ম সংশোধন করা জরুরি।

Advertisement

কিন্তু উল্টো দিকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক মনে করে, ওই সম্পদে হাত না দেওয়াই উচিত। কারণ, অর্থনীতির উপরে আসা ঝড়ঝাপ্টা সামাল দিতে আর্থিক ভাবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের যথেষ্ট শক্তিশালী থাকা প্রয়োজন। এই দু’য়ের মধ্যপন্থা হিসেবে ঠিক হয়, ভাঁড়ার ভাগাভাগির যুক্তিগ্রাহ্যতা সমেত সব খতিয়ে দেখতে তৈরি হবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এরপরেই গর্গের দাবি ছিল, শীর্ষ ব্যাঙ্ককে আদৌ ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে দেওয়ার কথা বলেনি দিল্লি। ওই টাকা না এলেও বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখতে। এ বার একই কথা দাবি করলেন জেটলিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন