রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লগ্নিতেও অনীহা শিল্পের

শিল্পের মতো লগ্নির খরা এ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। কল্যাণীর আইআইআইটি প্রতিষ্ঠানের শরিক হতে এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থাকে রাজি করাতে পারেনি রাজ্য সরকার। তারা কগনিজ্যান্ট, টিসিএস, আইটিসি ইনফোটেকের মতো বেশ কিছু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। সাড়া দেয়নি কেউ।

Advertisement

গার্গী গুহঠাকুরতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০২:৩৪
Share:

শিল্পের মতো লগ্নির খরা এ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।

Advertisement

কল্যাণীর আইআইআইটি প্রতিষ্ঠানের শরিক হতে এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থাকে রাজি করাতে পারেনি রাজ্য সরকার। তারা কগনিজ্যান্ট, টিসিএস, আইটিসি ইনফোটেকের মতো বেশ কিছু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। সাড়া দেয়নি কেউ।

সমস্যার শুরু গত বছরের শেষে। ২০১৪-র নভেম্বরে এ রাজ্যে তাদের ইস্পাত প্রকল্প স্থগিত করে দেয় জিন্দল গোষ্ঠী। আর সেই সঙ্গেই ছেদ পড়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফর্মেশন টেকনোলজির (আই আই আই টি) পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জিন্দলদের ভূমিকায়। কেন্দ্র-রাজ্যের এই যৌথ প্রকল্পে শরিক হিসেবে থাকার জন্য প্রথমে সায় দিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়া, বেসরকারি ইস্পাত সংস্থা জে এস ডব্লিউ বেঙ্গল ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা রোল্টা। জিন্দলদের প্রকল্প স্থগিত রাখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে সরে যায় জেএসডব্লিউ বেঙ্গল।

Advertisement

সেই শূন্যস্থান এখনও পূরণ করা যায়নি। সরকারি সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেনি। বণিকমহলের মতে, রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উৎসাহ তৈরি হয়নি। তারই প্রতিফলন পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষক হওয়ার ক্ষেত্রেও। জাতীয় একটি বণিকসভার কর্তার দাবি, সাধারণত এ রকম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকার অন্যতম কারণ দক্ষ মানবসম্পদের জোগান। কিন্তু স্থানীয় প্রকল্প না-থাকলে সেই মানবসম্পদের প্রতিও আগ্রহ কমে।

এ রাজ্যে আইআইআইটি তৈরির পরিকল্পনা বাম আমল থেকে শুরু। ২০১১ সালের মার্চে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছ থেকে কল্যাণীতে ১০০ একর জমি হাতে পায় তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এর মধ্যে আইআইআইটি প্রকল্পের জন্য ৫০ একর জমি চিহ্নিত করে রাজ্য। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) প্রকল্পটি তৈরি হওয়ার কথা। মোট খরচের ৫০% কেন্দ্র দেবে। ৩৫% রাজ্য। বাকি ১৫% ৩টি সংস্থার দেওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, প্রতিটি সংস্থাকে ৬ কোটি টাকা করে দিতে হবে। জিন্দলরা শরিক হিসেবে নাম প্রত্যাহার করায় তাদের ভাগের ৬ কোটিও পাওয়া যায়নি। জুনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পরে কেটেছে মাস দেড়েক। শিল্প সংস্থার দেখা মেলেনি।

এলাহাবাদ, জবলপুর, গ্বালিয়র ও কাঞ্চিপুরম— এই চারটি আইআইআইটি চলে কেন্দ্রীয় অনুদানে। কেন্দ্র, রাজ্য ও সংস্থার মিলিত প্রয়াসে চালু ছ’টি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফর্মেশন টেকনোলজি। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী সিটি, অসমের গুয়াহাটি, রাজস্থানের কোটা, গুজরাতের বডোদরা, কেরল ও তামিলনাডুর ত্রিচিতে এই ছ’টি কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন