পুরনো চাকরির প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা টাকা বর্তমান অ্যাকাউন্টে আনার জন্য আর কর্তৃপক্ষের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। নতুন যে-পরিষেবা কর্তৃপক্ষ চালু করেছেন, তার সুবাদেই এখন থেকে এই সুবিধা পাবেন পিএফের সদস্যরা। এই পরিষেবার অঙ্গ হিসাবে বিশেষ একটি পোর্টাল চালু করেছে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) দফতর। ওই পোর্টালের মাধ্যমে পিএফের সংশ্লিষ্ট সদস্য নিজেই নিজের টাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
‘আওয়ার সার্ভিসেস ফর এমপ্লয়ি— ওয়ান এমপ্লয়ি ওয়ান ইপিএফ অ্যাকাউন্ট’’ নামের ওই পোর্টালের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পিএফ সদস্যকে তাঁর ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং বর্তমান পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে। এর পরে অফিসারেরা সংশ্লিষ্ট সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরনো এক বা একাধিক চাকরির পিএফ অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা টাকা বর্তমান অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করবেন। এর ফলে যে-সব সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেগুলির কর্মীদের পিএফ অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা টাকা উদ্ধারও সহজ হবে বলে মনে করছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। টাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে তাঁদের দাবি।
এ দিকে সম্প্রতি প্রভিডেন্ট ফান্ড আইনে কিছু সংশোধনও করা হয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় এ বার থেকে পাঁচ বছরের কম সময় চাকরি করে পিএফের টাকা তুলে নিলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন সদস্যরা। আগে যা ছিল ৩০ হাজার টাকা। অবশ্য পিএফের যে-সব সদস্য ৫ বছরের কম চাকরি করে পিএফের টাকা তোলার জন্য আবেদন করবেন, শুধু তাঁদের ক্ষেত্রেই এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য। চাকরির মেয়াদ ৫ বছরের বেশি হলে পিএফের পুরো টাকার উপরেই আয়কর ছাড় রয়েছে।
এ দিকে গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করতে ‘ই-সমীক্ষা’ নামে একটি পরিষেবা চালু করেছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পিএফ সংক্রান্ত যে-সব সিদ্ধান্ত নেবেন, তা কতটা এবং কী গতিতে কার্যকর হচ্ছে, তার উপর নজরদারি করা যাবে। পিএফ কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু গত মে মাসেই তাঁরা গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া ২১ হাজার ৯৪৪টি অভিযোগের সুরাহা করেছেন।