ফি বছরের উল্টো ছবি এ বার! গরম বাড়ার সময় বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে গেলে কয়লার অভাব বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এ বছর সব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কয়লা মজুত রয়েছে। ফলে তার অভাবে উৎপাদনে টান পড়ার আশঙ্কা নেই বলেই বিদ্যুৎ কর্তারা জানাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (সিইএ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের নিজস্ব পাঁচ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেই কয়লা মজুত রয়েছে গড়ে ২৫ দিনের মতো। কোল ইন্ডিয়া কয়লা দিতে না পারলেও প্রতিটি কেন্দ্রে মজুত কয়লা দিয়ে টানা এক মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাওয়া সম্ভব বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম কর্তাদের একাংশের।
সিইএ-র তথ্য অনুযায়ী, সাগরদিঘি কেন্দ্রে ৩৪ দিনের কয়লা রয়েছে। গত বছর এই সময় সেখানে ১৭ দিনের কয়লা ছিল। অর্থাৎ মার্চের মজুত প্রায় দ্বিগুণ। সাঁওতালডিহিতে গত বছর এই সময় ১২ দিনের কয়লা ছিল, এ বার রয়েছে ২৭ দিনের মতো।
নিগম কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ বার আগে থেকে মজুত কয়লার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তাই কোল ইন্ডিয়ার কাছে বেশি কিনে রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ শিল্পমহল অবশ্য বলছে, কোল ইন্ডিয়া প্রতিটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেই জোগান বাড়িয়েছে। কারণ তাদের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে কয়লা পেতে সমস্যা হচ্ছে না। এক কর্তার কথায়, ‘‘বছর দেড়েক আগে গরমে টাকা দিলেও সময়মতো কয়লা পাওয়া যেত না। এখন কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন যে হারে বেড়েছে, একই ভাবে কয়লার জোগানও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।’’