ষাট পেরিয়েও এ বার যোগ দেওয়া যাবে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে (এনপিএস)। ওই প্রকল্পে টাকা জমানো যাবে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত। নতুন এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (পিএফআরডিএ)। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে তারা।
এখন এনপিএসে যোগ দেওয়ার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ, ওই পেনশন প্রকল্পে যোগ দেওয়ার পরে সেখানে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত টাকা জমাতে পারেন গ্রাহকরা। কিন্তু নতুন ব্যবস্থা চালু হলে, ষাটের পরে প্রকল্পে ফের নতুন করে যোগ দেওয়া যাবে। আর সেখানে তহবিল বাড়িয়ে যাওয়া যাবে ৬৫ বছর পর্যন্ত। আগে না-থাকলে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে ৬০ পূর্ণ করার পরেও।
পিএফআরডিএ-র চিফ জেনারেল ম্যানেজার অনন্ত গোপাল দাস বলেন, এখন ৬০ বছরে অবসর নেওয়ার পরে অনেকেই আর ঘরে বসে থাকেন না। বরং নতুন করে কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আয় করেন। এঁদের অনেকেরই বক্তব্য ছিল, আয় বন্ধ হওয়ার পরে পেনশনের অঙ্ক বাড়াতে আগে অ্যানুইটি কেনার তহবিল বৃদ্ধি জরুরি। তাঁর দাবি, সেই কারণে এনপিএসে ষাট পেরিয়েও টাকা জমানোর সুযোগ চাইছিলেন তাঁরা। অনন্তবাবুর কথায়, ‘‘সেই সুযোগ দিতেই ৬০ বছরে ফের প্রকল্পে যোগ দেওয়ার এই বন্দোবস্ত। দরজা খুলে দেওয়া ৬৫ বছর পর্যন্ত প্রকল্পে টাকা জমানোর সুযোগের।’’
তবে আগে থেকেই যাঁদের এনপিএসে অ্যাকাউন্ট আছে, তাঁরা সেই একই অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে পারবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে অনন্তবাবুর দাবি, ‘‘এই সমস্ত গ্রাহকদের প্রথমে অবসরের সময়ে ৬০ বছরে প্রাপ্য টাকা-পয়সা নিয়ে নিতে হবে। তারপরে ফের নতুন করে যোগ দিতে হবে প্রকল্পে।’’
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মী ছাড়া অন্যরা এই পেনশন প্রকল্পে যোগ দেওয়ার সময়েই ঘোষণা করতে পারেন যে, তিনি ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রকল্পটি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। যাঁরা সেই ঘোষণা করেননি, তাঁরা এখন টানা ৬৫ বছর প্রকল্পে সামিল থাকার ‘অপশন’ দিতে পারবেন কি না, বিজ্ঞপ্তি জারি হলে, তবেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
এনপিএস সম্পর্কে এ দিন অনন্তবাবুর দাবি, ইতিমধ্যে এর গ্রাহক সংখ্যা ৭০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। শেয়ার ও বন্ডের বাজারে টাকা খাটিয়ে এনপিএস তহবিলে পাঁচ বছরে গড় আয় হচ্ছে ১০ শতাংশেরও বেশি। বিশেষত শেষ দু’বছরে তহবিলের আয় প্রায় ১৭% করে হয়েছে বলে তাঁর দাবি।