আবাসন শিল্পে ভরসা সেই কম দামের প্রকল্প

এই বাজার ধরতে প্রায় সব নির্মাণ সংস্থাই নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা তৈরি করছে বলে দাবি নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের। ক্রেডাই চেয়ারম্যান গীতাম্বর আনন্দ জানান, চলতি বছরে এ ধরনের প্রকল্প ঘোষণার সংখ্যা বেড়ে যাবে।

Advertisement

গার্গী গুহঠাকুরতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৩
Share:

জিএসটি-র ধাক্কা সামলাতে এ বারও আবাসন শিল্পের বাজি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত বাজার।

Advertisement

২০০৯-এর মন্দা বা ২০১৬-র নোট সঙ্কট। বৈতরণী পার করেছে কম দামি আবাসন। সেই একই পথে হেঁটে জিএসটি-র চড়া করের কোপ থেকে বাঁচতেও নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের বাজারকে আঁকড়ে ধরছে নির্মাণ শিল্প।

আর এই কম দামি বাড়ির বাজারের উপর আস্থার প্রধান কারণ এ ক্ষেত্রে গৃহঋণের সুদে কেন্দ্রের ভর্তুকি। শহরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২০১৭ সালে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে সুদে ছাড় মিলবে ৪%। ঋণ ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে ৩%। বিশেষজ্ঞ সংস্থা সিবিআরই-র অন্যতম কর্তা অংশুমান ম্যাগাজিন জানান, এই যোজনা জিএসটি-র আওতায় না-থাকায় নিম্নবিত্ত বাজার চাঙ্গা হবে। কারণ সরবরাহ বাড়বে।

Advertisement

এই বাজার ধরতে প্রায় সব নির্মাণ সংস্থাই নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা তৈরি করছে বলে দাবি নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের। ক্রেডাই চেয়ারম্যান গীতাম্বর আনন্দ জানান, চলতি বছরে এ ধরনের প্রকল্প ঘোষণার সংখ্যা বেড়ে যাবে। কম দামি বাড়ি তৈরির দিকে নজর দিচ্ছে জাতীয় স্তরের নির্মাণ সংস্থারাও। টাটা হাউসিং, শাপুরজি-পালোনজি, ওয়াধওয়া গোষ্ঠী, মহীন্দ্রা লাইফস্পেসেস— তালিকায় রয়েছে অনেকেই।

জিএসটি পরবর্তী পরিস্থিতিতে একই পথে হাঁটছে এ রাজ্যও। তথ্য পরিসংখ্যান বলছে কলকাতায় বছরে তৈরি হয় ১৫ থেকে ১৭ হাজার ফ্ল্যাট। ক্রেডাই বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট নন্দু বেলানির দাবি, চলতি বছরে এই সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২২ হাজার। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই সরবরাহ বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন। বিজিএ রিয়্যালটির প্রধান রাজীব ঘোষ, সিদ্ধা গোষ্ঠীর সঞ্জয় জৈন ও জৈন গোষ্ঠীর ঋষি জৈনও এক সুরে জানান নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত বাজার ধরতেই বাণিজ্যিক পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, জিএসটি চালু হওয়ায় দামি বাড়ির বিক্রি মার খাবে বলে মনে করছে আবাসন শিল্পমহল। কারণ ফ্ল্যাটের দাম থেকে মাত্র এক তৃতীয়াংশ জমির দাম খাতে করছাড় মিলবে। আগে যা ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। দামি আবাসনের ক্ষেত্রে জমির দাম বেশি হয়। ফলে করের বোঝা বাড়বে। মাস ছয়েক আগে করা বিশেষজ্ঞ সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষা বলছে কলকাতায় যত সংখ্যক দামি বাড়ি বিক্রি হয়নি, তা বেচতে কমপক্ষে ৩১ মাস সময় লাগবে। সংস্থার অর্থনীতিবিদ স্যমন্তক দাস বলেন, ‘‘দামি বাড়ির বাজারের উপর পড়বে জিএসটি-র ধাক্কা। কম দামি বাড়ির বাজার এ বার টানবে ক্রেতা-বিক্রেতা, দু’পক্ষকেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement