ভর্তুকি ও ভর্তুকিবিহীন রান্নার গ্যাস হোক বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের সিলিন্ডার। আলাদা আলাদা শ্রেণিতে বিভক্ত বিভিন্ন ধরনের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে এখন উৎপাদন ও আমদানি শুল্কের বহরও আলাদা আলাদা। এ বার সেই বৈষম্য দূর করতে অর্থ মন্ত্রকের কাছে সব শ্রেণির সিলিন্ডারে একই হারে শুল্ক বসানোর আর্জি জানাল তেল মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির ভর্তুকির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার এখন উৎপাদন ও আমদানি, দুই শুল্কতেই সম্পূর্ণ ছা়ড় পায়। অথচ অন্য শ্রেণির সিলিন্ডারগুলিতে সেই সুবিধা নেই। যেমন, ১৪.২ কেজিরই বাণিজ্যিক সিলিন্ডারে বসে ৮% উৎপাদন এবং ৫% আমদানি শুল্ক। ১৯ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের কর কাঠামো আবার সম্পূর্ণ অন্য রকম। প্রধান বলেন, ‘‘আমরা অর্থ মন্ত্রকের কাছে এই ফারাক ঘুচিয়ে সব ধরনের এলপিজি ক্রেতার জন্য একই কর কাঠামো দাবি করেছি।’’ কারণ, শুল্কের হারে এই বৈষম্যের কারণেই ভর্তুকির সিলিন্ডারের কালোবাজারি বাড়ছে বলে অভিযোগ তাঁর। অন্য ক্ষেত্রের ব্যবহারকারীরা বেআইনি ভাবে সেগুলি সংগ্রহ করছেন। এই গ্যাস নিয়ে অনৈতিক কারবার বন্ধ করার জন্যই সব রকম সিলিন্ডারে শুল্ক সমান রাখার এই আর্জি বলে জানান তেলমন্ত্রী।