কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে ওড়িশায় ১৫০টি নতুন হিমঘর গড়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বে কৃষি দফতরের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ওড়িশায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বছরে নয় লক্ষ টন সব্জি উৎপাদন হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ওড়িশা। তার জন্য পরিকাঠামো গড়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে হিমঘর গড়তে উদ্যোগী হয়েছে সরকার।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই হিমঘরগুলি গড়ে তোলা হবে। পট্টনায়ক প্রতি দু’মাস অন্তর এর অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন। ইতিমধ্যেই কৃষকদের বীজ, সার-সহ প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহের জন্য ৪,৩৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ডিলার নিয়োগ করেছে রাজ্য। অন্যান্য পঞ্চায়েতের সঙ্গেও কথাবার্তা চালানো হচ্ছে।
এর সঙ্গেই ২০১৭ সালের মধ্যে প্রতি ৫ হাজার জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে একটি করে শস্য শুকোনোর জমি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন পট্টনায়ক। এর জন্য রাজস্ব এবং পঞ্চায়েতি রাজ বিভাগের সঙ্গে মিলে কাজ করতে বলা হয়েছে কৃষি দফতরকে। পাশাপাশি, ২০১৫-র মধ্যে কৃষিপ্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের জন্য অফিসার স্তরে হাজারেরও বেশি শূন্য পদে নিয়োগের কথাও বলেছেন তিনি।