গ্যাস বাড়ল ৫০ টাকা, তেল কমলো কই?

বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম এক লাফে প্রায় ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। পাশাপাশি বেড়েছে কেরোসিন, বিমান জ্বালানির দামও। এক হাতে তেলের দামে সামান্য কয়েক পয়সা দর কমার সুরাহা দিয়ে অন্য হাতে এ ভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

নাগাড়ে লাফিয়ে বাড়ার পরে বুধবার তেলের দাম মোটে এক পয়সা কমায় প্রধানমন্ত্রীকে টুইটে বিঁধেছিলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু তার পরেও এই ক’দিনে পেট্রল, ডিজেলের দর নেমেছে দিনে ২ থেকে ৯ পয়সা। অথচ তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম এক লাফে প্রায় ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। পাশাপাশি বেড়েছে কেরোসিন, বিমান জ্বালানির দামও। এক হাতে তেলের দামে সামান্য কয়েক পয়সা দর কমার সুরাহা দিয়ে অন্য হাতে এ ভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

Advertisement

কংগ্রেস যেমন আজ সামনে এনেছে ২০১১ সালের জুনে স্মৃতি ইরানির করা টুইট। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘রান্নার গ্যাসের দামে ৫০ টাকা বৃদ্ধি!!! আর এরা কি না নিজেদের আমজনতার সরকার বলে। কী লজ্জা!’’ বিরোধীরা বলছেন, এ বারও তো সেই রান্নার গ্যাস। সেই ৫০ টাকা। তার বেলা?

বিমান জ্বালানির দাম শুক্রবার ৭% বেড়েছে। চার বছরে সর্বোচ্চ। গরিব মানুষের জ্বালানি বলে পরিচিত কেরোসিনের দামও কলকাতায় লিটারে বেড়েছে ২৭ পয়সা।

Advertisement

শুক্রবারের দর প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দাম ৬ পয়সা কমিয়েছেন। আমরা আহ্লাদিত। তাঁকে অভিনন্দন। খুশিতে মারা না যাই! কিন্তু মাসে ২০ কোটি লোক রান্নার গ্যাস নেন। ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম দিল্লিতে ২ টাকা ৩৪ পয়সা আর ভর্তুকিহীন গ্যাস ৪৮ টাকা বেড়েছে। এক হাতে সামান্য দিয়ে অন্য হাতে কেড়ে নিচ্ছে এই সরকার।’’

এ বার দাম বৃদ্ধির দৌলতে কলকাতায় ভর্তুকিহীন সিলিন্ডার ৬৭৪ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৭২৩.৫০ টাকা। ভর্তুকির গ্যাস ৪৯৪.২৩ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৪৯৬.৬৫ টাকা। তেল সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, কর ও ভর্তুকি হিসেবের পরে দাম কার্যত একই থাকবে। অর্থাৎ, ভর্তুকির সিলিন্ডারে বাড়তি টাকা গুনতে হবে না।

একই সঙ্গে তাদের যুক্তি, প্রতি মাসে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামের বাড়া-কমার ভিত্তিতে পরের মাসের রান্নার গ্যাসের দর স্থির হয়। ফলে মে-র প্রভাবে জুনের দর বেড়েছে। এর পরে জুনে বিশ্ব বাজারে স্বস্তি মিললে, তার প্রভাব টের পাওয়া যাবে জুলাইয়ে।

কিন্তু বিরোধীরা বলছেন, মোদী জমানায় ভর্তুকির সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশের বেশি। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘পেট্রল, ডিজেলের পরে বোঝা এ বার রান্নাঘরে।’’ এ দিন বেঙ্গল চেম্বারের অনুষ্ঠানে রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমেরও দাবি, ‘‘সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে কেন্দ্রের উচিত শুল্ক ছাঁটাই করা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন